চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে মো. হৃদয় (২৫) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেসের ছাদ থেকে পড়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া সাতটায় বোয়ালখালী পৌর সদরের গোমদণ্ডী বুড়ি পুকুরপাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহিদুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ওই যাত্রী গুরুতর আহত হয়ে মারা গেছেন বলে শুনেছেন। বিস্তারিত কারণ তদন্ত করে জানা যাবে। ট্রেনের ছাদে চড়ে যাতায়াত করা নিষিদ্ধ। এখন ওই যাত্রী কীভাবে ট্রেনের ছাদে উঠেছেন, তা খোঁজ নিচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, চলন্ত ট্রেন থেকে মো.

হৃদয় পড়ে যান। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পান তিনি। পায়ের আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির (জেলা) উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার স্থানীয়দের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ওই তরুণ চলন্ত ট্রেনের ছাদে দুই হাত তুলে লাফালাফি করছিলেন। এই সময় ট্রেন থেকে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। প্রথমে বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ট্রেনের ছাদে করে যাত্রী পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেসের ছাদে মো. হৃদয়সহ তিন-চারজন তরুণ ছিলেন বলে স্থানীয় লোকজন জানান।

রেলওয়ের চট্টগ্রাম নগরের ষোলোশহর স্টেশনের স্টেশনমাস্টার জয়নাল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে ষোলোশহর স্টেশনে আসে। তবে সেখানে কাউকে ছাদে উঠতে দেওয়া হয় না। রেলওয়ে পুলিশ ও স্টেশনের কর্মীরা কঠোরভাবে তদারকি করে। সম্ভবত নগরের জানালী হাটস্টেশন থেকে উঠেছেন ওই তরুণ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম র লওয়

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ