দুই হাত তুলে লাফালাফি, ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
Published: 27th, February 2025 GMT
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে মো. হৃদয় (২৫) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেসের ছাদ থেকে পড়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া সাতটায় বোয়ালখালী পৌর সদরের গোমদণ্ডী বুড়ি পুকুরপাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহিদুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ওই যাত্রী গুরুতর আহত হয়ে মারা গেছেন বলে শুনেছেন। বিস্তারিত কারণ তদন্ত করে জানা যাবে। ট্রেনের ছাদে চড়ে যাতায়াত করা নিষিদ্ধ। এখন ওই যাত্রী কীভাবে ট্রেনের ছাদে উঠেছেন, তা খোঁজ নিচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চলন্ত ট্রেন থেকে মো.
রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ট্রেনের ছাদে করে যাত্রী পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেসের ছাদে মো. হৃদয়সহ তিন-চারজন তরুণ ছিলেন বলে স্থানীয় লোকজন জানান।
রেলওয়ের চট্টগ্রাম নগরের ষোলোশহর স্টেশনের স্টেশনমাস্টার জয়নাল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে ষোলোশহর স্টেশনে আসে। তবে সেখানে কাউকে ছাদে উঠতে দেওয়া হয় না। রেলওয়ে পুলিশ ও স্টেশনের কর্মীরা কঠোরভাবে তদারকি করে। সম্ভবত নগরের জানালী হাটস্টেশন থেকে উঠেছেন ওই তরুণ।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার
দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।
দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’
তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’
আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা