ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ: উদ্ভাবন ও শিক্ষার উজ্জ্বল বাতিঘর
Published: 27th, February 2025 GMT
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার পরিসরে লিবারেল আর্টস শিক্ষা ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। একবিংশ শতাব্দীর দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে শিক্ষার্থীদের শুধু পেশাদার দক্ষতাই নয়, বরং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, সৃজনশীলতা এবং বহুমুখী দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন। এই চাহিদাগুলো পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)। যেখানে গবেষণা, উদ্ভাবন ও সমাজসেবার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
একাডেমিক উৎকর্ষ ও বহুমুখী শিক্ষার পথিকৃৎ
২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউল্যাব বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত। শিক্ষার্থীদের শুধু তথ্য ও জ্ঞান প্রদানই নয়, বরং তাঁদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করাই এর লক্ষ্য। বিশ্ববিদ্যালয়টির পাঠ্যক্রম ‘লিবারেল আর্টস’ শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যা শিক্ষার্থীদের একাধিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ দেয়। এখানে শিক্ষার্থীরা দুটি পৃথক বিষয়ে ‘মেজর’ ও ‘মাইনর’ করার সুবিধা পান, যা তাঁদের বহুমাত্রিক চিন্তাধারা গঠনে সহায়তা করে।
ইউল্যাবের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামসমূহউচ্চশিক্ষায় আগ্রহীদের জন্য উপযোগী সাতটি প্রোগ্রাম রয়েছে ইউল্যাবে। সেগুলো হলো—
• ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ (বিবিএ, এমবিএ, ইএমবিএ)
• গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা (এমএসজে)
• কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই)
• ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই)
• বাংলা ভাষা ও সাহিত্য (বিএলএল)
• ইংরেজি ও মানবিক শিক্ষা (ডিইএইচ)
• যোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় (স্নাতকোত্তর)
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘নয়া মানুষ’
নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রান্তিক চরের মানুষের জীবনযাপন, মানবিকতা ও ধর্মীয় সহাবস্থানের চিত্র নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’। প্রশংসিত এই চলচ্চিত্র জায়গা করে নিয়েছে ‘কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর পঞ্চম আসরে। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে আজ থেকে শুরু হওয়া এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের এই আলোচিত চলচ্চিত্রটি।
৭ দিনব্যাপী এ উৎসবে মিসর, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান ও ভারতের নির্বাচিত চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’, যা বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছে উৎসবে।
আরো পড়ুন:
দুই গায়িকার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, দ্বন্দ্ব চরমে
সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন ভাবনা
২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া ‘নয়া মানুষ’ দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়ায়। আ. মা. ম. হাসানুজ্জমানের লেখা ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেন মাসুম রেজা।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।
উৎসবে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গল্পকার ও অভিনেতা আ. মা. ম. হাসানুজ্জমান বলেন, “আমি যখন গল্পটি লিখি, তখন এত কিছু ভাবিনি। কিন্তু চলচ্চিত্রটি দর্শক দেখার পর যে ভালোবাসা পাচ্ছি, তা সত্যিই অকল্পনীয়। ‘নয়া মানুষ’ ধর্মীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করছে, শান্তির বার্তা দিচ্ছে, ধর্মের প্রকৃত দর্শন তুলে ধরছে—এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
চলচ্চিত্রটির নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, “আমার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে অংশ নিচ্ছে—এটা আমার জন্য গর্বের বিষয়। কাশ্মীর ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ‘নয়া মানুষ’ অংশ নিচ্ছে, যা দেশের চলচ্চিত্রের জন্যও একটি বড় সাফল্য।”
চাঁদপুরের দুর্গম কানুদীর চরে চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটির। চিত্রগ্রহণ পরিচালনা করেছেন কমল চন্দ্র দাস। সিনেমাটির সংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাউল শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাসা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।
মানবতার বার্তা, ধর্মীয় সহনশীলতা ও জীবনবোধের অনন্য মেলবন্ধন নিয়ে ‘নয়া মানুষ’ এবার বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দিচ্ছে শান্তি ও সহমর্মিতার বার্তা।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত