রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ঝালকাঠিতে ‘প্রশান্তি’ বাজার
Published: 28th, February 2025 GMT
পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঝালকাঠিতে সুলভ মূল্যের বাজার ‘প্রশান্তি’ চালু করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঝালকাঠি শহরের বাহের রোডে এ বাজার উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান।
সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন ও কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এ বাজারের আয়োজন করেছে। এখানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৩ টাকা, প্রতি কেজি ছোলা ১০০ টাকা, চিনি ১১৬ টাকা, মসুর ডাল ১০০ টাকা, মটর ডাল ৫৮ টাকা, লবণ ১৫ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ টাকা, চাল ৩০ টাকা, আটা ২৪ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশান্তি বাজার থেকে সুলভ মূল্যে পণ্য কিনতে পেরে খুশি স্থানীরা।
প্রশান্তি বাজার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাওছার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিনসহ ক্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেছেন, “রমজান মাসজুড়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে এ প্রশান্তি বাজার চালু করা হয়েছে। সূলভ মূল্যে পণ্য কিনতে মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে।”
ঢাকা/অলোক/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল
২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার
সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।
কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।