বিনা মূল্যে মাইক্রোসফট অফিস ব্যবহারের সুযোগ আসছে, তবে...
Published: 28th, February 2025 GMT
কম্পিউটারে মাইক্রোসফট অফিস স্যুটের সফটওয়্যার অর্থাৎ ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট বিনা মূল্যেই ব্যবহার করেন অনেকে। তবে সেগুলো যে পাইরেটেড সংস্করণ, তা অনেকে জানেন, আবার অনেকে না জেনেই ব্যবহার করছেন। এবার পরীক্ষামূলকভাবে বিনা মূল্যের একটি অফিস সংস্করণ চালু করেছে মাইক্রোসফট। সংস্করণটি কাজে লাগিয়ে মাইক্রোসফট ৩৬৫ সাবস্ক্রিপশন বা লাইসেন্স কী ছাড়াই ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ার পয়েন্ট-এর মতো জনপ্রিয় সফটওয়্যার ব্যবহার করা যাবে।
নতুন এই সংস্করণে ডকুমেন্ট তৈরি ও সম্পাদনা করা গেলেও তা কেবল মাইক্রোসফটের ক্লাউড স্টোরেজ ওয়ান ড্রাইভে সংরক্ষণ করতে হবে। অর্থাৎ, সরাসরি কম্পিউটারে ফাইল সংরক্ষণের সুবিধা থাকছে না। এ ছাড়া, বিনা মূল্যের এই সংস্করণে প্রতি দুই ঘণ্টা পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১৫ সেকেন্ডের একটি বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। একই সঙ্গে এতে অ্যাড-ইন ইনস্টল, ওয়াটারমার্ক যোগ, তথ্য বিশ্লেষণের মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাও পাওয়া যাবে না।
বিনা মূল্যে এই অফিস সংস্করণ ব্যবহার করতে হলে মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যারটির সেটআপ ফাইল ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। চালুর পর সাইন-ইন করার অনুরোধ দেখা গেলে ‘স্কিপ সাইন-ইন ফর নাউ’ অপশন নির্বাচন করতে হবে। এরপর ‘কনটিনিউ ফর ফ্রি’ অপশন নির্বাচন করে ‘সেভ টু ওয়ান ড্রাইভ’ অপশন বেছে নিলেই সংস্করণটি ব্যবহার করা যাবে।
সংস্করণটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং নির্দিষ্টসংখ্যক ব্যবহারকারীর জন্য সীমিতভাবে চালু করা হয়েছে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট পিসি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে মাইক্রোসফটের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সীমিত পরিসরে এই সংস্করণের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তবে এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর স স করণ
এছাড়াও পড়ুন:
বদলি নীতিমালা সংশোধনের দাবি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সুপারিশপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির সুযোগ দাবি করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে নীতিমালা ২০২৪ এর আওতাভুক্ত জেনারেল শিক্ষকদের নিজ বিষয় ও পদের অনুকূলে যেকোনো অধিদপ্তরে স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে এ বদলির দাবি জানান তারা
বর্তমানে দেশে প্রায় ৩৮ হাজার ৩২২টি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২ হাজার ৫৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬ হাজার ৫১৬ টি এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজ রয়েছে অন্তত ৪ হাজার।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শূন্যপদে বদলি নীতিমালা ২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে। এ জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বদলি নীতিমালার মাধ্যমে জেনেছি, স্ব স্ব অধিদপ্তর স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে বদলি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। কিন্তু আমাদের প্রথম থেকেই দাবি ছিল অধিদপ্তর নির্বিশেষে শূন্যপদে বদলি চালু করা। স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি অধিদপ্তরের সাধারণ শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় তথ্য (ইনডেক্স) বদলি সিস্টেমের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করে সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের সমপদ/সমস্কেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যেকোনো অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠানে আবেদনের সুযোগ দেওয়া অতীব জরুরি।
তারা বলেন, প্রায় ৩৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাদরাসা ও কারিগরির জেনারেল শিক্ষকদের শুধু নিজস্ব অধিদপ্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বদলি করলে জেনারেল শিক্ষকদের সঙ্গে চরম বৈষম্য করা হবে। কারণ মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের (মাত্র ১২ হাজারের মত) সংখ্যা স্কুল-কলেজের তুলনায় চার ভাগের এক ভাগ। মাদরাসা/কারিগরির জেনারেল শিক্ষকদের সঙ্গে এমন বৈষম্য বর্তমান বৈষম্যবিরোধী সরকারের নীতির পরিপন্থি।
বক্তারা আরও বলেন, এনটিআরসিএর মাধ্যমে সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্যপদের বদলি নীতিমালা-২০২৪ সংশোধন করে সব বৈষম্য দূর করে মাদরাসা ও কারিগরি থেকে স্কুল-কলেজে এবং স্কুল-কলেজ থেকে মাদরাসা ও কারিগরিতে যাওয়ার জন্য একই সফটওয়্যারের অথবা ইনডেক্স ট্রান্সফারিং মাধ্যমে দ্রুত বদলির ব্যবস্থা চালুর দাবি জানাচ্ছি।
মানবন্ধনে সংগঠনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক সাকিবুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মো. শরিফুল, মো. আজাদ, প্রভাষক হুসাইন আলী, মো. আজিজুল হক প্রমুখ।
ঢাকা/রায়হান/মেহেদী