সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

গাজীপুরের টঙ্গীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৬০ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ধরনের মাদকসহ দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।

শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযানে অংশ নেন সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য।

গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছিনতাই, মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে যৌথ বাহিনী পরিচালিত অভিযানে টঙ্গীর মাজার বস্তির বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্র, মাদক ও মাদক সেবনের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অর্ধশতাধিক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থার উন্নয়নকল্পে জেলা প্রশাসন গাজীপুর, গাজীপুর সেনাবাহিনী ক্যাম্প ও উত্তরা সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সঙ্গে বিজিবি, র‌্যাব ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যবৃন্দ যোগ দেন। আপনারা জানেন, মাজার বস্তি যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ছিনতাই রাহাজানিতে এসব এলাকার অনেক মানুষ জড়িত।

তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আজকে এ অভিযানটি পরিচালনা করি। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছি। সেই সঙ্গে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র যেগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়, সেগুলো উদ্ধার করেছি।  চিহ্নিত বেশ কিছু সন্ত্রাসী এবং মাদকসেবী লোকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বেশ কিছু মাদকদ্রব্যসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করেছি। সেগুলো আমরা আইনগতভাবে নিষ্পত্তি করব।

তিনি আরও বলেন, রমজান মাস ঘিরে এই এলাকার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে আমরা ধারণা করছিল। সে কারণেই আজকের আমাদের এই অভিযান। এ অভিযানের প্রেক্ষিতে আমাদের বেশ কিছু নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। টাকাগুলো গণনা চলছে, গণনা শেষ হলে আমরা বলতে পারব। আজকের এই অভিযানে আমরা আনুমানিক ৬০ জনের মতো মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী এবং যারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে লিপ্ত, চিহ্নিত, আমাদের তালিকাভুক্ত ছিল সেই সমস্ত লোকদের গ্রেপ্তার করেছি। এখানে থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদক উদ্ধার করেছি। গাঁজা, দেশীয় মদ, ইয়াবা থেকে শুরু করে করে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছি। জনজীবনে স্বস্তি না আসা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ