কাঠ আমদানির ওপর নতুন শুল্কের উদ্যোগ ট্রাম্পের
Published: 2nd, March 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমদানি করা কাঠের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের লক্ষ্যে একটি বাণিজ্যিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এটি সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর তৃতীয় নতুন শুল্ক তদন্ত, যা কানাডার সফটউড লাম্বারের বিদ্যমান শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। যদিও এর আগেই আগামী সপ্তাহে কানাডা ও মেক্সিকোর সব পণ্যের ওপর বিদ্যমান শুল্কের সঙ্গে আরও ২৫ শতাংশ হারে অতিরিক্ত শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের নির্দেশনায়, ১৯৬২ সালের ট্রেড এক্সপ্যানশন অ্যাক্টের সেকশন ২৩২ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক জাতীয় নিরাপত্তার ওপর কাঠ আমদানির প্রভাব তদন্ত করবেন। এর আগে একই আইনের আওতায় ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক আরোপ করেছিলেন। বাণিজ্য বিভাগকে আগামী ২৭০ দিনের মধ্যে এ তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নির্মাণকাজে কাঠের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
ট্রাম্পের এই নতুন শুল্ক ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের গৃহনির্মাণ খাতে কাঠের মূল্যবৃদ্ধি ঘটাতে পারে এবং কানাডার সঙ্গে দীর্ঘদিনের বাণিজ্যবিরোধকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থার প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল টেলিটা ক্রসল্যান্ডকে শুক্রবার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। টেলিটা মার্কিন সেনাবাহিনীর অন্যতম জ্যেষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গ নারী কর্মকর্তা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান ও অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় ক্রসল্যান্ডকে অবসরে পাঠানো হলো।
অন্যদিকে, দেশটির সরকারি কর্মীদের দ্বিতীয় দফা ই-মেইল পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। আগের মতো এই মেইলেও এক সপ্তাহের কাজ ও অর্জনের সারসংক্ষেপ জানিয়ে উত্তর দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মানবসম্পদ বিভাগ, ইউএস অফিস অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্টের (ওপিএম) পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংস্থায় পাঠানো এসব মেইলে গত এক সপ্তাহের পাঁচটি অর্জন উল্লেখ করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইলন মাস্ক লিখেছেন, এই মেইলের জবাব দেওয়া নির্বাহী বিভাগে কর্মরত সবার জন্য বাধ্যতামূলক। খবর রয়টার্সের।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
গত ৫ মার্চ চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে হেনস্তা করার অভিযোগে নিজ সংস্থার ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দুইজন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএসইসির জরুরি কমিশন সভায় এ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। আজ বুধবার সকালে কাজে যোগ দেওয়ার পর সাময়িক দরখাস্তের আদেশ হাতে পেয়েছেন তারা।
বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা (৫১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), যুগ্মপরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপপরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫), উপপরিচালক আল ইসলাম (৩৮), উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম (৪২), উপপরিচালক তৌহিদুল ইসলাম (৩২), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), সহকারী পরিচালক রায়হান কবীর (৩০), সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী পরিচালক আবদুল বাতেন (৩২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফকে (২৯)।
মামলার আসামিদের বাইরে আরো যে ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- পরিচালক আবুল হাসান, পরিচালক ফখরুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক মিরাজ উস সুন্নাহ, উপ-পরিচালক নানু ভূঁইয়া, সরকারি পরিচালক আমিনুর রহমান খান এবং সহকারী পরিচালক তরিকুল ইসলাম।
যে দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- মাকসুদা মিলা, সহকারী পরিচালক (রেজিস্ট্রেশন) এবং কাউসার পাশা বৃষ্টি, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।
বরখাস্তের আদেশে হিসেবে গত ৫ মার্চ শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির চারটি প্রতিবেদনের বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বৈঠককালে কমিশনের অনুমতি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জোরপূর্বক প্রবেশ করে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হেনস্তা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত মিরাজ উস সুন্নাহর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কমিশন সভায় ঢুকে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অভিযোগ আনা হলেও ওই সভায় চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় আগেই (গত ৬ মার্চ) ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিএসইসি চেয়ারম্যানের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি করেছিলেন। এ মামলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিনে আছেন তারা।
মামলার ১৬ আসামির মধ্যে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। আরেকজন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেছেন।
ওই মামলার আসামিদের বাইরে আরো ছয়জনকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ এনে বরখাস্ত করা হয়েছে।