‘তোরা দেখ দেখ দেখ রে চাহিয়া/ কৃষক ক্ষেতে পানি দেয় গাজী পাম্প দিয়া’— এই জিঙ্গেলটি তখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ১৬ বছর আগে প্রচারিত গাজী পাম্পের বিজ্ঞাপনটিতে অভিনয় করেছিলেন সংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি, অভিনয়শিল্পী ডা. এজাজুর রহমান ও নাসরিন। এই ত্রয়ী আবারো একফ্রেমে আসছেন একই কাজের জন্য!  
নতুন বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে নাসরিন বলেন, “১৬ বছর আগে আমরা একসঙ্গে গাজী পাম্পের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলাম। আবারো একই প্রজেক্টে একসঙ্গে কাজ করছি, সত্যিই দারুণ লাগছে।”
ঢাকার অদূরে আজ বিজ্ঞাপনটির শুটিং চলছে। নতুন বিজ্ঞাপনের ধারণা ও নির্মাণ কেমন হবে, তা এখনো পুরোপুরি প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানা গেছে, আগের জিঙ্গেলের সুর ও আবহ ধরে রেখেই আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে মিলিয়ে নতুনভাবে বিজ্ঞাপনটি নির্মিত হচ্ছে বলেও জানান নাসরিন।
আরো পড়ুন:
‘আজকে আমি কট খেয়েছি কাল আপনি খেতে পারেন’
মায়ের শাড়িতে বধূ সাজেন মেহজাবীন
এতে কুদ্দুস বয়াতির কণ্ঠ বা আগের মতোই একই ধরনের উপস্থাপনা থাকবে কি-না-এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয়নি। তবে শিল্পীদের দাবি, আগের জনপ্রিয়তা মাথায় রেখেই বিজ্ঞাপনটি তৈরি করা হচ্ছে, যাতে পুরোনো দর্শকরা নস্টালজিক হন এবং নতুন প্রজন্মও আগ্রহী হয়।
কৃষকদের জন্য তৈরি গাজী পাম্প তখনকার সময়ে যে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, তার একটি বড় কারণ ছিল এই তিন শিল্পীর অসাধারণ উপস্থিতি এবং গান। দর্শকদের জন্য নতুন বিজ্ঞাপনটি কতটা আকর্ষণীয় হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক ব জ ঞ পনট
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা