Samakal:
2025-08-01@08:41:42 GMT

জয় নয়, বাটলারের ভাবনায় উন্নতি

Published: 3rd, March 2025 GMT

জয় নয়, বাটলারের ভাবনায় উন্নতি

বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলার ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর যে সহজ হবে না বাংলাদেশের মেয়েদের, তা অনুমেয়ই ছিল। প্রথম ম্যাচের মতো রোববার দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেও আমিরাতের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে আফেইদা খন্দকার-শাহেদা আক্তার রিপারা। দুই ম্যাচে হারলেও ম্যাচের ফলের দিকে তাকাতে চান না বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার। 

বরং তরুণ এই দল নিয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছেন ব্রিটিশ এ কোচ, ‘এই সফর নিয়ে যদি বলি, এই সপ্তাহ নিয়ে আমি খুবই গর্বিত। ফুটবলের সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন আছি। জিততে হবে, জিততে হবে– আমি এই মানসিকতার নই। আমার ভাবনায় উন্নতি। এই সপ্তাহে আমরা সেটা পেয়েছি, সেই মানসিকতা দেখেছি (মেয়েদের মধ্যে)। যখন আমরা এই মানসিকতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব– আসুন ধৈর্য ধরি, উন্নতি করি, নতুন ভবিষ্যৎ সাজাই; তখন বাংলাদেশের (নারী) ফুটবল এই মেয়েদের হাত ধরে বেড়ে উঠবে।’ 

আমিরাত সফর শেষ করে ঢাকায় ফেরা মেয়েরা গতকাল বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে দেখা করেছেন। আপাতত ঈদ পর্যন্ত বন্ধ বাফুফে ক্যাম্প।

গত বছরের অক্টোবরে নেপালে সাফের শিরোপা জেতা দলের বড় সব তারকা ছিলেন না আমিরাত সফরে। দুই ম্যাচে ৬ গোল হজম করা বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছে মাত্র দু’বার। আক্রমণভাগে সাবিনা খাতুন-তহুরা খাতুনদের শূন্যস্থান পূরণ করতে পারেননি রিপা, আইরিন খাতুন, সুরভী আকন্দ প্রীতিরা। এদের কেউই জালের দেখা পাননি। দুই ম্যাচে দুটি গোল করেছেন আফেইদা। 

ফরোয়ার্ডরা জ্বলে উঠতে না পারলেও এই নতুনদের মধ্যে সম্ভাবনা দেখছেন বাটলার, ‘আজকের (রোববার) ম্যাচে আমি অনেক পরিবর্তন করেছি। মেয়েদের খেলার সুযোগ দিয়েছি এবং এই তরুণীরা ভীষণ ইতিবাচক এবং দারুণ ফুটবল খেলেছে। তারা দারুণ মানসিকতা দেখিয়েছে। দেখুন, আমরা সেই দলের সঙ্গে (এখনই) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব না, যাদের ২৩ জনের মধ্যে ১০-১২ জনই বিদেশি খেলোয়াড়, আমরা তাদের সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে লড়তে পারব না, আমরা তাদের সঙ্গে লড়তে পারি উদ্দীপনা ও সাহস দিয়ে। সেখানে এই মেয়েদের নিয়ে আমি গর্বিত।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম র ত ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”

শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।

তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ

কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।

 

তথ্যসূত্র: বাসস

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ