জাতীয় ঐকমত্য কমিশন: সংস্কার নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে শিগগির আলোচনা
Published: 4th, March 2025 GMT
সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে চলতি মাসের প্রথমার্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা শুরু করবে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’। এর আগে কমিশন বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর বিষয়ে দলগুলোর কাছ থেকে মতামত নেবে। দলগুলোও আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ঐকমত্য কমিশন বলছে, গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে তৈরি নির্দিষ্ট ছক দলগুলোর কাছে দু–এক দিনের মধ্যে পাঠানো হবে। দলগুলোর প্রাথমিক মতামত পাওয়ার পর শুরু হবে আলোচনা।
যেসব বিষয়ে ভিন্নমত থাকবে, সেগুলো কী কারণে ভিন্নমত, সামান্য পরিবর্তন করা হলে একমত হয় কি না, এসব নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সহসভাপতি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনগত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সংস্কারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার কথা সেদিন জানানো হয়েছিল—দলগুলোর সঙ্গে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করে একটি সনদ (জুলাই সনদ) তৈরি করা হবে। এই জুলাই সনদের ভিত্তিতে হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালা ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঐকমত্য কমিশন। এর অংশ হিসেবে কমিশন সংস্কার প্রস্তাবের মধ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে একটি ছক তৈরি করছে। সেখানে প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে দলগুলোর কাছে সুনির্দিষ্ট মতামত চাওয়া হবে। কোনো সুপারিশের বিষয়ে একমত কি না এবং সেটি কবে নাগাদ বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন (নির্বাচনের আগে বা পরে) বলে মনে করে—এসব বিষয়ে দলগুলোর কাছে মতামত চাওয়া হবে। দলগুলোর মতামত পর্যালোচনা করে আলোচনা শুরু হবে।
তবে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পৃথক আলোচনার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে। আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের আলোচনা শুরু হবে। কোনো দল জোটগতভাবে আলোচনা করতে চাইলে সে সুযোগও থাকবে। এরপর আবার সব দল/জোটের সঙ্গে একসঙ্গে আলোচনা করা হবে। এর পাশাপাশি সাধারণ জনগণের সঙ্গে আলোচনার একটি উপায় বের করারও চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়ের কাজে যুক্ত আছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার। তিনি গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নির্দিষ্ট ছকে দু–এক দিনের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে। তারা সেগুলোর ওপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মতামত দেবে। এরপর দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে।
জামায়াতে ইসলামীও ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করছে। দলটির সূত্র জানায়, ছয়টি আলাদা গ্রুপ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনার কাজ করছে। তাদের দলীয় পর্যালোচনার কাজ এখনো শেষ হয়নি।প্রস্তুতি নিচ্ছে দলগুলোও
রাজনৈতিক দলগুলোও নিজেদের মতো করে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করছে। বিএনপি সূত্র জানায়, বিএনপি দলীয়ভাবে আলাদা আলাদা সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য ছয়টি কমিটি গঠন করেছিল। সংশ্লিষ্ট কমিটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করছে। তবে ‘রাষ্ট্র সংস্কারে’ নিজেদের ৩১ দফা প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেবে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির নিজস্ব ৩১ দফা প্রস্তাব আছে। সংস্কার কমিশনগুলো যখন দলের মতামত চেয়েছিল, তখন মতামত দেওয়া হয়েছে। এখন এসব বিষয়ে ঐকমত্য হলে ভালো। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না, সেসব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো যার যার প্রস্তাব নিয়ে নির্বাচনে যেতে পারে। জনগণ এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। এর বাইরে কারও কিছু করার ‘ম্যান্ডেট’ নেই।
জামায়াতে ইসলামীও ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করছে। দলটির সূত্র জানায়, ছয়টি আলাদা গ্রুপ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনার কাজ করছে। তাদের দলীয় পর্যালোচনার কাজ এখনো শেষ হয়নি।
দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও দলের প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পৃথক পৃথক আলোচনা হবে। এখনো আলোচনার সুনির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি। তাঁরা এ কাজে সহযোগিতা করবেন।
ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির পর্যালোচনা বা অবস্থান প্রায় প্রস্তুত করা আছে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ঐকমত্য কমিশন মতামত চাইলে তা দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার নিয়ে যেমন দলগুলোর কিছু কিছু বিষয়ে মতভিন্নতা আছে, তেমনি সংস্কারের বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া কী হবে, তা নিয়েও ভিন্নমত আছে। যেমন বিএনপি চায় আগে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচিত সংসদ সংবিধান সংশোধন করবে। অন্যদিকে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি চায়, আগে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হোক। তবে দলগুলো আশা করছে, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে এসব বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত আসবে।
ঐকমত্য কমিশন মতামত চাইলে তা দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারগণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে ন্যূনতম ঐক্যের ভিত্তিতে একটি জাতীয় সনদ করতে হবে। যেসব সুপারিশের বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেগুলোর বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া কী হবে এবং কত দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে, তা ঠিক করতে হবে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটা নিয়েও একটি জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য দেশের বিভিন্ন খাতে সংস্কার আনা। এ লক্ষ্যে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য গত বছরের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই ছয়টি কমিশন তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এসব কমিশনের প্রধানদের নিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত পাওয়ার পর ১০-১১ মার্চ নাগাদ আলোচনা শুরু করা যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন। কোন দল কোন বিষয়ে একমত, কোন বিষয়ে দ্বিমত, তা জানার পর আলাদাভাবে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। যেসব বিষয়ে দলগুলো একমত হবে, সেগুলো নিয়ে আলোচনার তেমন কিছু থাকবে না। যেসব বিষয়ে ভিন্নমত থাকবে, সেগুলো কী কারণে ভিন্নমত, সামান্য পরিবর্তন করা হলে একমত হয় কি না, এসব নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দলগ ল র ক ছ সরক র র মত মত চ ব এনপ দলট র
এছাড়াও পড়ুন:
সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত সিদ্ধান্ত, আরপিওতে পরিবর্তন আসছে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। আর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সে বিষয়ে সরকার অনড় থাকবে। এদিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) অধ্যাদেশের খসড়ায় আবার পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।
সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। বিএনপি বলছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির এখতিয়ার সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। আর জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠান অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত বলেও মনে করে দলটি। জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল নভেম্বরের মধ্যে গণভোটসহ পাঁচ দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ দেখার পরই এনসিপি সনদে স্বাক্ষরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আগে থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য ছিল। সংস্কার বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ জমা দেওয়ার পর তা নতুন করে তীব্রভাবে সামনে এল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সদ্য অনুমোদন দেওয়া নির্বাচন-সংক্রান্ত আইন আরপিওর (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া আবারও সংশোধন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জোটগতভাবে নির্বাচন করলে নিজের দলের প্রতীকে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থাকছে না। অর্থাৎ কোনো প্রার্থী চাইলে নিজ দলের প্রতীকেও নির্বাচন করতে পারবেন, অথবা জোটের কোনো দলের প্রতীকেও নির্বাচন করতে পারবেন।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করেছিল অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। তখন সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কোনো দল জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও নিজেদের প্রতীকে অংশ নিতে হবে।
এরপর ওই বিধান নিয়ে আপত্তি জানায় বিএনপি ও ছোট দলগুলো। ছোট দলগুলো এ নিয়ে নিজেদের আপত্তি ও উৎকণ্ঠার কথা কয়েকজন উপদেষ্টাকে জানায়। একপর্যায়ে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের আপত্তি জানায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, প্রধান উপদেষ্টার আগ্রহ এবং নির্দেশনায় আরপিওতে সর্বশেষ পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এ লক্ষ্যে আগামী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে।
সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। বিএনপি বলছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির এখতিয়ার সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। আর জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠান অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত বলেও মনে করে দলটি। জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল নভেম্বরের মধ্যে গণভোটসহ পাঁচ দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ দেখার পরই এনসিপি সনদে স্বাক্ষরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আগে থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য ছিল। সংস্কার বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ জমা দেওয়ার পর তা নতুন করে তীব্রভাবে সামনে এল।