বিদ্যুৎ কোম্পানিতে একাধিক পদে চাকরি, সর্বোচ্চ বেতন ৬ লাখ
Published: 5th, March 2025 GMT
চায়না-বাংলার যৌথ তাপবিদ্যুৎ কোম্পানি এসএস পাওয়ার লিমিটেডে কাজ করা সিঅ্যান্ডএইচ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ১৩ ক্যাটাগরির পদে ১৬ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে ই-মেইলে পাঠাতে হবে।
১. পদের নাম: সিইও
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: বিএসসি ডিগ্রি/ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল/ইলেকট্রিক্যাল। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে অপারেশন সার্ভিসে ১২ থেকে ১৫ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন-ভাতা: মাসিক মূল বেতন ৪,২৫,০০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)। এ ছাড়া মাসে অন্যান্য ভাতা ৭৫,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
২.
পদের নাম: বয়লার ইঞ্জিনিয়ার
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: বিএসসি ডিগ্রি/ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল/ইলেকট্রিক্যাল। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে বয়লার মেইনটেন্যান্স সার্ভিসে পাঁচ থেকে আট বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন-ভাতা: মাসিক মূল বেতন ১,৭০,০০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)। এ ছাড়া মাসে অন্যান্য ভাতা ৩০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
৩. পদের নাম: কেমিস্ট্রি অপারেটর
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: বিএসসি ডিগ্রি/ডিপ্লোমা ইন কেমিস্ট্রি/কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে কেমিস্ট্রি অপারেটর পদে পাঁচ থেকে আট বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন-ভাতা: মাসিক মূল বেতন ১,০২,০০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)। এ ছাড়া মাসে অন্যান্য ভাতা ১৮,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
৪. পদের নাম: স্টেশন ম্যানেজার
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: বিএসসি ডিগ্রি/ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল/ইলেকট্রিক্যাল। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে অপারেশন সার্ভিসে ১০ থেকে ১২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন-ভাতা: মাসিক মূল বেতন ৫,১০,০০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)। এ ছাড়া মাসে অন্যান্য ভাতা ৯০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
৫. পদের নাম: ডিসিএস স্টেশন ইঞ্জিনিয়ার
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: বিএসসি ডিগ্রি/ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ডিসিএস ইঞ্জিনিয়ার পদে পাঁচ থেকে আট বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন-ভাতা: মাসিক মূল বেতন ১,৭০,০০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)। এ ছাড়া মাসে অন্যান্য ভাতা ৩০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
৬. পদের নাম: ইলেকট্রিক্যাল অপারেটর
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: বিএসসি ডিগ্রি/ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ইলেকট্রিক্যাল সিআরআর অপারেটর পদে পাঁচ থেকে আট বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন-ভাতা: মাসিক মূল বেতন ১,০২,০০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)। এ ছাড়া মাসে অন্যান্য ভাতা ১৮,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
৭. পদের নাম: হেড অব মেইনটেন্যান্স
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: বিএসসি ডিগ্রি/ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল/ইলেকট্রিক্যাল। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে মেকানিক্যাল মেইনটেন্যান্স সার্ভিসেসে ৮ থেকে ১০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন-ভাতা: মাসিক মূল বেতন ২,৫৫,০০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)। এ ছাড়া মাসে অন্যান্য ভাতা ৪৫,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
৮. পদের নাম: হেড অব অপারেশনস
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: বিএসসি ডিগ্রি/ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল/ইলেকট্রিক্যাল। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে অপারেশন সার্ভিসেসে ৮ থেকে ১০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন-ভাতা: মাসিক মূল বেতন ২,৫৫,০০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)। এ ছাড়া মাসে অন্যান্য ভাতা ৪৫,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনবেসরকারি সংস্থায় বড় নিয়োগ, পদ ৭৩৫৩ ঘণ্টা আগে৯. পদের নাম: হেড অব পারফরম্যান্স
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: বিএসসি ডিগ্রি/ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল/ইলেকট্রিক্যাল। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ওঅ্যান্ডএম সার্ভিসেসে ৮ থেকে ১০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন-ভাতা: মাসিক মূল বেতন ২,৫৫,০০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)। এ ছাড়া মাসে অন্যান্য ভাতা ৪৫,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
১০. পদের নাম: আইঅ্যান্ডসি ইঞ্জিনিয়ার
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: বিএসসি ডিগ্রি/ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে আইঅ্যান্ডসি ইঞ্জিনিয়ার পদে পাঁচ থেকে আট বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন-ভাতা: মাসিক মূল বেতন ১,৭০,০০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)। এ ছাড়া মাসে অন্যান্য ভাতা ৩০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
১১. পদের নাম: আইঅ্যান্ডসি ওয়ার্ক ফোরম্যান
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল/ভোকেশনাল। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে আইঅ্যান্ডসি ফোরম্যান পদে তিন থেকে পাঁচ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন-ভাতা: মাসিক মূল বেতন ৬৮,০০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)। এ ছাড়া মাসে অন্যান্য ভাতা ১২,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনবিয়াম ফাউন্ডেশনে চাকরি, ৯ম থেকে ১৫তম গ্রেডে পদ ৬৭৬ ঘণ্টা আগে১২. পদের নাম: ল্যাব অ্যানালিস্ট
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: বিএসসি ডিগ্রি/ডিপ্লোমা ইন কেমিস্ট্রি/কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ল্যাব অ্যানালিস্ট পদে তিন থেকে পাঁচ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন-ভাতা: মাসিক মূল বেতন ১,৭০,০০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)। এ ছাড়া মাসে অন্যান্য ভাতা ৩০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
১৩. পদের নাম: রিলে অ্যান্ড প্রটেকশন ইঞ্জিনিয়ার
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: বিএসসি ডিগ্রি/ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল/ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে পাওয়ার প্ল্যান্টের মিটার/রিলে অ্যান্ড প্রটেকশন সিস্টেমে পাঁচ থেকে আট বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন-ভাতা: মাসিক মূল বেতন ১,৭০,০০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)। এ ছাড়া মাসে অন্যান্য ভাতা ৩০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনবিসিআইসি ৯ম ও ১০ম গ্রেডে নেবে ১০২ জন২ ঘণ্টা আগেআবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের এই লিংক থেকে নির্ধারিত চাকরির ফরম পূরণ করতে হবে। এরপর পূরণ করা ফরমটি [email protected] ঠিকানায় ই-মেইল করে দিতে হবে। ই-মেইলের সাবজেক্টে পদের নাম উল্লেখ করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংক থেকে জেনে নেওয়া যাবে।
আবেদনের শেষ সময়: ১৫ মার্চ ২০২৫।
আরও পড়ুনকানাডা হাইকমিশনে চাকরি, বেতন বছরে ২০ লাখ ৭৩ হাজার২২ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন য ন য ভ ত পদ র ন ম য গ যত ব এসস
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার
দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।
দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’
তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’
আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা