প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী হলেন শেখ মহিউদ্দিন ও ফয়েজ আহমেদ
Published: 5th, March 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় আরো দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নিয়োগ দেওয়া নতুন দুই বিশেষ সহকারী হলেন শেখ মইনউদ্দিন এবং ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।
বুধবার (৫ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, তারা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
শেখ মইনউদ্দিনকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের, যেখানে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
আর ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে, যা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার অধীনে।
একই পদমর্যাদায় এর আগে আরো তিনটি মন্ত্রণালয়ে তিনজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। নতুন দুজনকে নিয়ে এখন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন পাঁচজন।
সরকারে দপ্তর বণ্টন ও নতুন নিয়োগ নিয়ে বুধবার পৃথক প্রজ্ঞাপনে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়া অধ্যাপক ড.
পরিকল্পনা ও শিক্ষায় থাকা উপদেষ্টার ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের দায়িত্ব কমিয়ে শুধু পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর গত ৮ অগাস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হয়। প্রথম দফায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ১৬ জন এবং দ্বিতীয় দফায় আরও চারজন উপদেষ্টা সরকারে যুক্ত হন।
সবশেষ গত ১০ নভেম্বর তিনজন শপথ নিলে অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টার সংখ্যা হয় ২৪ জন। তাদের মধ্যে এএফ হাসান আরিফ গত ২০ ডিসেম্বর মারা যান। আর রাজনীতিতে যোগ দিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকার থেকে পদত্যাগ করেন নাহিদ ইসলাম।
বর্তমানে উপদেষ্টাদের পাশাপাশি উপদেষ্টা পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, বিশেষ দূত ও প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ রয়েছেন তিনজন।
ঢাকা/নঈমউদ্দিন/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ ষ সহক র পদমর য দ য় সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বকাপে জায়গা করতে বিশ্বকাপজয়ীকে কোচের দায়িত্ব দিল ইতালি
দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা যে কতটা গৌরবের আর আনন্দের, সেটা একজন বিশ্বকাপ জয়ের-অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়ের চেয়ে আর কে ভালো বোঝাতে পারবেন?
আর এমন ভাবনা থেকেই এবার গানারো গাত্তুসোকে জাতীয় ফুটবল দলের কোচ নিয়োগ দিয়েছে ইতালি। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করা নিয়ে শঙ্কায় আছে। এর আগে খেলতে পারেনি ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপে। টানা তৃতীয় আসর যাতে দর্শক হয়ে না থাকতে হয়, সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী গাত্তুসোকে দায়িত্ব দিয়েছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এফআইজিসি।
২০২৬ বিশ্বকাপের ইউরোপিয়ান বাছাইয়ে ইতালি খেলছে ‘আই’ গ্রুপে। পাঁচ দলের গ্রুপ থেকে শুধু শীর্ষ স্থানধারী দলই বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করতে পারবে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল প্লে-অফে খেলার সুযোগ পাবে। এই মুহূর্তে ‘আই’ গ্রুপে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে নরওয়ে। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইসরায়েল। ইতালির অবস্থান তিনে, ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহে নরওয়ের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারার পরই এফআইজিসি কোচ লুসিয়া স্পালেত্তিকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বিদায় নিশ্চিতের পরও সোমবার মল দোবার বিপক্ষে ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়ান স্পালেত্তি, ম্যাচটি ইতালি ২-০ ব্যবধানে জেতে।
নরওয়ে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই জেতায় ইতালি এখন চাপে আছে। হাতে এখনো ৬টি ম্যাচ বাকি। তবে শীর্ষস্থানে থাকতে হলে নিজেদের বাকি সব ম্যাচ তো জিততেই হবে, নরওয়েকেও পয়েন্ট হারাতে হবে। আর এমন জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই ইতালি দলের দায়িত্ব নিচ্ছেন গাত্তুসো।
৪৭ বছর বয়সী গাত্তুসো ২০০০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ইতালির জাতীয় দলে খেলেছেন। এর মধ্যে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সেরা পারফরমারদের একজন ছিলেন। সব ম্যাচেই শুরুর একাদশে ছিলেন, পরে জায়গা করে নিয়েছিলেন বিশ্বকাপের অলস্টার একাদশেও। ২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ডের ক্লাব সিওনে খেলোয়াড় কাম কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তখন থেকে গত ১২ বছরে মোট ৯টি ক্লাবের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন গাত্তুসো। যার মধ্যে আছে নিজের সাবেক ক্লাব এসি মিলান এবং ভ্যালেন্সিয়া ও মার্শেই। সর্বশেষ ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব হাইদুক স্প্লিটের দায়িত্বে ছিলেন, যা গত মাসে পারস্পরিক সমঝোতায় ছেড়ে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোচ হিসেবে মোট ৩৭৬টি ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে গাত্তুসোর জয়ের হার ৪২.৮২ শতাংশ। জিতেছেন ১৬১টিতে, ড্র ১০৮ আর হার ১০৭-এ।
এখন দেখার বিষয়, ইতালি দলে তার সাফল্যের হার কতটা হয়, বিশেষ করে যখন দলের দরকার শতভাগ জয়। ইতালি জাতীয় দল তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে ৫ সেপ্টেম্বর এস্তোনিয়ার বিপক্ষে।