জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য হাসপাতালে খাবারের বরাদ্দ বাড়ল
Published: 5th, March 2025 GMT
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের খাবারের গুণগত মান বাড়াতে বরাদ্দ বাড়িয়েছে সরকার। জনপ্রতি বরাদ্দ বেড়ে ২৫০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। আগে এই বরাদ্দ ছিল ১৭৫ টাকা।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অর্থ বিভাগে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য পাঠানো চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে নির্দেশনা পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত ২ মার্চ বরাদ্দ বাড়ানোর একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। তাতে সই করেছেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো.
মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ও ভর্তি হওয়া রোগীদের খাবারের গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের পথ্য (রোগীর খাবার) বাবদ জনপ্রতি বর্তমান বরাদ্দ ১৭৫ টাকার পরিবর্তে ২৫০ টাকায় উন্নীত করার বিষয়ে অর্থ বিভাগ থেকে সম্মতি পাওয়া গেছে।
তবে শর্ত হচ্ছে, এ বিষয়ে আবশ্যিক সব বিধিবিধান ও আর্থিক নিয়মাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে। প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি আদেশ (জিও) জারির তারিখ থেকে এটি কার্যকর হবে। রোগীপ্রতি দৈনিক ২৫০ টাকা বরাদ্দ অন্য কোনো ক্ষেত্রে নজির হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না এবং রোগীপ্রতি দৈনিক ২৫০ টাকা বরাদ্দ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চিঠিতে জানায়, অর্থ বিভাগের সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথ অনুসরণপূর্বক পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে সরকার এক পরিপত্র জারি করে রোগীদের খাবারের বরাদ্দ ১২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা করে। এই টাকায় রোগীদের তিন বেলা খাবার দেওয়া হয়। অর্থ বিভাগের চিঠিতে এই বরাদ্দ শুধু জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহত ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তাব ও বাজার দর বিবেচনায় বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আহত জ ল ই গণহত য বর দ দ ব ড় ২৫০ ট ক র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলা, আহত ৪
সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অন্তত চারজন আহত হয়েছে। আহতদের এলাকাবাসী উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হসপিটালে নিয়ে যায়। আহতরা হলেন, আব্দুল সোবহান (৬২), আব্দুল আজিজ (৪৫),রবিন (৩৮) ও মুক্তার হোসেন।
সোমবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। উক্ত মারামারির ঘটনায় মুক্তার হোসেন বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ আজিবপুর এলাকার বাসিন্দা বিবাদী আহমাদুল্লাহ (৫০), মোহাম্মাদ হোসেন (৪৫), সফর আলী (৪৫), জাফর হোসেন (৫০) সর্ব পিতা মৃত মমির আলী, সাইফুল ইসলাম (২৬), ফয়সাল হোসেন (২৪) উভয় পিতা মোহাম্মাদ উল্যাহ, রব কাজির ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮), কামাল হোসেন সহ অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ৩০ জন নুর বানু বেগম (৬৫) এর সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং ছাপাখানা মোড়ে ক্রয়কৃত ৫ শতাংশ জমি দখল করতে যায়।
মানুষের মুখে দখলের কথা শুনে নুর বানু বেগমের ছেলে মুক্তার হোসেন উক্ত জমির সামনে গেলে উক্ত বিবাদীরা মুক্তার কে দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। মুক্তার হোসেন গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে উক্ত বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র এসএসের পাইপ দিয়ে মুক্তারকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে।
মুক্তার কে মারধর করছে এমন খবর পেয়ে মুক্তারের চাচাতো ভাইরা ঘটনাস্থলে আসলে তাদেরকেও মারধর করে গুরুতর আহত করে উক্ত বিবাদী গং। তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় বাদীদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যান।
এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হসপিটালে নিয়ে যান। চিকিৎসা শেষে মুক্তার হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এসে বিবাদীদের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদী মুক্তার হোসেন জানান, আমার মা নুর বানু বেগম সিদ্ধিরগঞ্জ ছাপাখানা মোড়ে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।আমার মায়ের নামে নামজারি খাজনা সহ যাবতীয় কাগজপত্র রয়েছে। উক্ত বিবাদী গং দীর্ঘদিন যাবত এই জায়গাটি দখল করার পায়তারা করছে।
বিবাদীরা সোমবারে বিকালে আমার মায়ের জমি দখল করতে আসলে আমরা বাধা প্রদান করি। এক পর্যায়ে বিবাদীরা দেশী অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপরে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছি। আমি উক্ত বিবাদীগণের কঠিন শাস্তি কামনা করছি প্রশাসনের কাছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (উপ- পরিদর্শক) এসআই সালেকুজ্জামান বলেন, মারামারির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।