মুশফিকের বিদায়বেলায় আবেগী মাশরাফি
Published: 6th, March 2025 GMT
বিসিবি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও জানা গিয়েছিল, আরও এক বছর বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকছেন মুশফিকুর রহিম। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁর অবসর ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন ওঠারই কথা নয়।
কিন্তু গত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুশফিক জানিয়ে দিয়েছেন, ৫০ ওভারের ক্রিকেটে আর নয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কাল একইভাবে বিদায় বলে দিয়েছেন ওয়ানডেকে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের ভরাডুবি আর ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থতার (২ ম্যাচে ২ রান) পর ব্যাপক সমালোচিত হয়ে আসছিলেন মুশফিক। কাল সকালে ৩৫ বছর বয়সী স্টিভেন স্মিথের ওয়ানডে থেকে অবসরের খবর ৩৭ বছরের মুশফিকের ওপর হয়তো ক্রমাগত চাপ বাড়িয়ে তুলেছিল। সেই চাপ আর বাড়তে দেননি তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে একসঙ্গে ২১২ ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি–মুশফিক.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম’—তামিমের আবেগঘন স্বীকার
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল সমকালের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে তার আন্তর্জাতিক অবসর অপ্রত্যাশিত বা আবেগঘটিত কোনো সিদ্ধান্ত নয়। বরং ছয় থেকে আট মাস ধরে চলা দৃঢ় মানসিক চাপ ও দল থেকে বঞ্চনার কারণেই তিনি বাধ্য হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দিতে।
তামিম বলেন, ‘যখন ২০২৩ সালে খবরটা দিলাম, অনেক মিডিয়া ধারণা করেছে আবেগে ছেড়েছি। কিন্তু সত্যিই, আমি দীর্ঘ সময় সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলাম।’
এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তামিম যোগ করেন, ‘সেখানে আমি একা অনুভব করতে শুরু করি। আমি সব সময় সবাইকে নিয়ে গল্প করতে পছন্দ করি। আড্ডা দিতে ভালোবাসি। হঠাৎ এসব থেকে আমাকে একা করে দেওয়া হলো। সেই অভাবটা আমি মেনে নিতে পারিনি।’
তামিম জানালেন, ‘অবসর জানাতে আমার পরিবারের সঙ্গেই কথা হয়েছে। হ্যাঁ, যেদিন ঘোষণা দিয়েছি, সেদিন আবেগাপ্লুত ছিলাম। তবে বেশ আগেই যে প্রেক্ষাপট তৈরি হতে শুরু করেছে, তা অনেকেই জানেন না।’