ডিপিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে শুক্রবার শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাববে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। বড় রান করে ধানমন্ডি স্পোর্টিং ক্লাব ৩২ রানে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে। ৪ উইকেটে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
দ্বিতীয় রাউন্ডের এই তিন ম্যাচে তিন ব্যাটার সেঞ্চুরি পেয়েছেন। তারা হলেন- মাহফিজুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান এবং ধানমন্ডি ক্লাবের ইয়াসির আলী রাব্বি ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন।
এছাড়া শাইনপুকুরের রাহিম আহমেদ, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সাইফ হাসান ও আফিফ এবং অগ্রণী ব্যাংকের অমিত হাসান ও গাজী গ্রুপের সাদিকুর রহমান সেঞ্চুরির পথে থাকলেও তা মিস করেছেন।
মিরপুর স্টেডিয়ামে অগ্রণী ব্যাংক ২১৬ রানে অলআউট হয়। দলের হয়ে অমিত হাসান ৮৯ রান করেন। ইমরুল কায়েস ফিফটি করেন। জবাবে গাজী গ্রুপ ওপেনার সাদিকুরের ৮৯ রান ও তোফায়েল আহমেদের ফিফটিতে ৪ উইকেটে জেতে।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ধানমণ্ডি ক্লাব ৭ উইকেটে ৩৩২ রান তোলে। ইয়াসির রাব্বি ১২১ বলে ১৪৩ রান করেন। সাতটি করে চার ও ছক্কা মারেন। মঈন খান ৬২ ও জিয়াউর ১৮ বলে ৪০ রান করেন। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ পাল্টা জবাব দিয়ে ৯ উইকেটে ৩০৮ রান তোলে। সৌম্য শূন্য করলেও সাইফ হাসান ১১২ বলে ৯৫ এবং আফিফ হোসেন ৯৬ বলে ৯৮ রানের ইনিংস খেলেন।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ৯ উইকেটে ২৮৮ রান তোলে। রাহিম আহমেদ ৯৫ রানের ইনিংস খেলেন। ব্রাদার্স ইউনিয়ম মাহফিজুলের ১১৪ ও মিজানুরের ১৩৬ রানে ভর করে জয় তুলে নেয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড প এল র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।