Samakal:
2025-05-01@05:41:23 GMT

কিছু না বলা সত্য বলবেন অপি

Published: 8th, March 2025 GMT

কিছু না বলা সত্য বলবেন অপি

অভিনয়ে আর আগের মতো পাওয়া যায় না নন্দিত অভিনেত্রী অপি করিমকে। উপস্থাপনায়ও অনিয়মিত। কোনো উৎসব আয়োজনেই শুধু পর্দায় দেখা মেলে তাঁর। নারীর কৃতিত্বকে স্মরণ ও সম্মান জানাতে প্রতিবছর ৮ মার্চ বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। লিঙ্গবৈষম্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এ দিনটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ এই দিবস উপলক্ষে ওয়েব কনটেন্টে ‘নারীদের নিয়ে কিছু না বলা সত্য কথা’ বলবেন অপি করিম। সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে এ সচেতনতামূলক ওয়েব কনটেন্ট। যার কেন্দ্রীয় ভূমিকায় রয়েছেন এ অভিনেত্রী। রাসেল মাহমুদের স্ক্রিপ্টে এটি নির্মাণ করেছেন সজল আহমেদ।
অপি করিম বলেন, ‘নারী দিবস উপলক্ষে কিছু সত্য কথা বলতেই ওটিটি কনটেন্টটিতে হাজির হব। আশা করছি, নারীদের সচেতনতা বাড়াতে এটি সাহায্য করবে।’ 
সজল আহমেদ বলেন, ‘এ কনটেন্টের মাধ্যমে নারীদের চলমান কিছু বাস্তব প্রেক্ষাপট, তাদের কিছু সত্য কথা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে চাই। পাশাপাশি একটি সামাজিক বার্তা দিতে দেওয়া হয়েছে। এ রকম সচেতনতামূলক একটা কনটেন্টের জন্য একজন সফল নারীই প্রয়োজন ছিল, কারণ একজন সফল নারীর কাছ থেকে মেসেজটা গেলে সাধারণ মানুষ সেটা সহজেই গ্রহণ করবেন। এর জন্য অপি করিম আপুকেই আমার কাছে সবচেয়ে সফল নারী বলে মনে হয়েছে। যার কারণে আমি তাঁকেই নিয়েছি।’
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ থেকে কনটেন্টটি  অনলাইনে উন্মুক্ত হবে। 
বড় পর্দায় অপি করিম সর্বশেষ অভিনয় করেন ‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমায়। কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি ছোটগল্প অবলম্বনে নির্মিত এ সিনেমা পরিচালনা করেছেন ভারতীয় নির্মাতা ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী ও প্রযোজনা করেছেন বাংলাদেশি নির্মাতা জসীম আহমেদ। ছবিটি অনেকগুলো আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। সিনেমায় তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার ঋত্বিক চক্রবর্তী। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কনট ন ট কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বড় বন্দরে ভারী কাজ করেও চলে না সংসার 

দেশের সিংহভাগ আমদানি-রপ্তানি হয় চট্টগ্রামে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর দিয়ে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানি হওয়ার পর সেগুলো বিভিন্ন লাইটার জাহাজের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন ঘাট হয়ে গুদামজাত হয়। এরপর সেখান থেকে যায় বিভিন্ন বাজারে। লাইটার জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের সঙ্গে জড়িত শত শত শ্রমিক দিন রাত পরিশ্রম করেন। তারপরও কষ্টে চলে তাদের সংসার।

চট্টগ্রাম মহানগরীর মাঝিরঘাট এলাকায় ১৭টি ঘাটে আমদানি পণ্য খালাস হয়। আর এসব খালাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় ৪ হাজার ঘাট শ্রমিক। এই শ্রমিকরা পালাক্রমে কাজ করেন ঘাটে। দিন-রাত হাড় ভাঙা খাটুনির পরও দিন যায় কষ্টে। সময়ের সঙ্গে তাদের শ্রমের মূল্য বাড়লেও তা বর্তমান বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য নয়।

চট্টগ্রাম গুদাম ও ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আবদুল খালেক রাইজিংবিডিকে বলেন, “প্রতি বছর মে দিবসে অনেকেই আমাদের স্মরণ করেন। কিন্তু বছর জুড়ে আমাদের অবহেলা আর বঞ্ছনার জীবন। সারা দিন কাজ করে ঘাট শ্রমিকরা ৭০০ থেকে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পেয়ে থাকে। কিন্তু এর বিনিময়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ভারী বস্তা বহন করে শ্রম দিতে হয়। কখনো কখনো এই পারিশ্রমিকও জোটে না। আবার সব শ্রমিকের প্রতিদিন কাজও জোটে না।” 

ঘাট শ্রমিক আবদুল মতিন জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঘাটে আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, গম, সার, চিনি, সাদা মটর, পাথর, কয়লা, ফ্লাইঅ্যাশ, বল ক্লে, লাইম স্টোন, জিপসাম, সিমেন্ট ক্লিংকারসহ বিভিন্ন ধরনের ভারী পণ্য। এসব পণ্য মাদার ভেসের থেকে লাইটার জাহাজে খালাসের পর মাঝিরঘাটের বিভিন্ন গুদামে আনা হয়। সেখান থেকে শ্রমিকরা খালাস করে বিভিন্ন ট্রাকে লোড করেন, আবার ট্রাক থেকে বিভিন্ন গুদামে মজুদের জন্য আনলোড করেন। প্রতিদিন একজন শ্রমিক একশ’ দেড়শো বস্তা পর্যন্ত পণ্য বহন করেন। ভোর ৬টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শ্রমিকরা ভারী পণ্য বহনের এসব কাজ করেন। এতে তাদের দৈনিক মজুরি মিলে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা।

মনিরুল মোল্লা নামে আরেক শ্রমিক রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমরা দিনে হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি পেলেও সংসার চালাতে কষ্ট হয়। বস্তা বহন অতি পরিশ্রমের কাজ। এ জন্য আমাদের অনেক খাওয়া-দাওয়া করতে হয়। প্রতিদিন একজন শ্রমিকের ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ করতে হয় খাওয়ার পেছনে। এতে দিনের আয়ের অর্ধেক চলে যায়। বাকি অর্ধেক টাকা দিয়ে ৫-৬ জন সদস্যের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। পরিবার সন্তানদের জন্য মাসে এক দুই বার মাছ মাংস খাওয়া সম্ভব হয় না।”

আবদুল সবুর নামের অপর একজন ঘাট শ্রমিক রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমাদের শ্রমে-ঘামে দেশের আমদানি রপ্তানি বড় কার্যক্রম চলে চট্টগ্রামে। কিন্তু আমাদের জীবন চলে অনেক কষ্টে। অসুস্থ হলে কাজ জোটে না, খাবার জোটে না। এভাবেই চলছে আমাদের জীবন।”

ঘাট শ্রমিক ফরিদুল মোস্তফা বলেন, “৪ সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে ৬ সদস্যের পরিবার। প্রতিদিন যা আয় করি তার অর্ধেক চলে যায় ব্যক্তিগত খরচে। বাকি অর্ধেক দিয়ে পুরো সংসার চালাতে হয়। জিনিসপত্রের যা দাম অর্ধেক আয় দিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিন বেলা খাওয়াও কষ্ট।”

সফি মোল্লা নামের অপর এক শ্রমিক বলেন, “ভারী কাজ প্রতিদিন করা সম্ভব হয় না। সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া কাজ করতে গিয়ে অনেক শ্রমিক আহত হন। অনেকেই কর্মক্ষমতা হারায়। কিন্তু আমাদের দেখার কেউ নাই। এছাড়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে অনেক সময় ঘাট বন্ধ থাকে। তখন কাজ থাকে না। এতে আমাদের অভাবের শেষ থাকে না।” 

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
  • বড় বন্দরে ভারী কাজ করেও চলে না সংসার 
  • শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের মহান মে দিবস আজ
  • কর্মক্ষেত্রে অধিকার আদায়ের রক্তাক্ত গৌরবময় দিন
  • শ্রম আইনের সংশোধন কবে হবে, তা বলছে না শ্রম মন্ত্রণালয়
  • শিগগিরই শ্রম আইন সংশোধন করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা 
  • আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে শিল্পকলা একাডেমির  দুই দিনের আয়োজন
  • মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানো যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের
  • আইনগত সহায়তা দিবসে আলোচনা সভা-শোভাযাত্রা
  • আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন