পারিবারিক দ্বন্দ্বের গল্পে ‘বাবার ভিটা’
Published: 8th, March 2025 GMT
রূপার বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তার ছোট ফুপু মালা ও তাকে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তার আপন চাচা। সে তাদের না জানিয়ে সব জমি একাই ভোগ করতে থাকে। এরমধ্যে কিছু জমি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বন্ধকও দেয়। এদিকে রূপা সজল নামে গ্রামের একটি ছেলেকে ভালোবাসে। এটি তার চাচা মেনে নিতে চায় না। রূপা ও সজলের সম্পর্কের বিষয়টি গ্রামের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। এতে ইন্ধন দেয় তার চাচা।
অন্যদিকে রূপা, মালা ও সজল মিলে পরিকল্পনা করে কীভাবে তারা বাবার ভিটার অধিকার ফিরে পাবে। রূপা তার বাবার রেখে যাওয়া পুরোনো ডায়েরির লেখা থেকে অনুমান করে তাদের বাগানে মাটির নিচে লুকানো সিন্ধুকে বাড়ির পুরোনো দলিল রাখা আছে। সেই সিন্ধুকে কি আসলেই ভিটার দলিল খুঁজে পাবে? সম্পত্তির অধিকার, পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও প্রেমে বিরোধ– এসব নিয়েই নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের [বিটিভি] নাটক ‘বাবার ভিটা’।
মাহফুজুর রহমানের রচনায় এটি প্রযোজনা করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। অভিনয় করেছেন শুভাশিস ভৌমিক, সাবিহা জামান, তানজিলা হক মাইশা, রেজওয়ান পারভেজ, বিমল ব্যানার্জী, রোকাইয়া জান্নাত, হামজা আনোয়ার, ওহাব মিয়া, রাকিব ও ইউসুফ আলী খান।
এটি প্রচার হবে আজ ৮ মার্চ শনিবার রাত ৯টায়। নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে শুভাশিস ভৌমিক বলেন, ‘নাটকের গল্প অসাধারণ। এতে সমাজের চেনাজানা মানুষের ছায়া খুঁজে পাওয়া যাবে। নাটকটি দর্শকের ভালো লাগবে বলে আশা করছি।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?