আর্জেন্টিনার বন্দর নগরী বাহিয়া ব্লাঙ্কায় ঝড় ও প্রবল বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রচণ্ড ঝড়ের পর ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে আর্জেন্টিনার এই শহর। টানা আট ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টিপাতের পর সৃষ্ট এই বন্যায় অনেক রাস্তাঘাট ও সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে। শহরের বেশিরভাগ অংশ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে এবং ১১০০ জনেরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।  

শুক্রবার বাহিয়া ব্লাংকায় ৪০০ মিলিমিটারেরও (১৫.

৭ ইঞ্চি) বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা প্রতিবছর গড়ে মোট বৃষ্টিপাতের এক-তৃতীয়াংশ।

আরো পড়ুন:

আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের দল ঘোষণা, ফিরলেন নেইমার

ব্রাজিলের ৬ গোল হজমে শুরু, শিরোপা জয়ে শেষ 

প্রাদেশিক সরকার জানিয়েছে, তারা হেলিকপ্টার, অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি খাবার ও পানীয় পাঠাচ্ছে । অন্যদিকে উপকূলরক্ষী বাহিনীও উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে বন্যার পানিতে গাড়ি ভেসে যেতে দেখা যাচ্ছে। 

প্রাদেশিক সরকারের মন্ত্রী কার্লোস বিয়ানকো স্থানীয় রেডিওকে বলেছেন, “আমাদের শহরটি পুনর্নির্মাণ করতে হবে। কিছু মানুষ আছে যারা সবকিছু হারিয়েছেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন বন য য়

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ