এমএলএম ব্যবসা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের
Published: 10th, March 2025 GMT
দেশের জনগণকে পিরামিড বা পঞ্জি স্কিম মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বসাধারণের জন্য একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিগত সময়ে দেশে কতিপয় প্রতিষ্ঠান বিধিবহির্ভূতভাবে গ্রাহকের আমানত বা বিনিয়োগ সংগ্রহ, রেফারেলের ভিত্তিতে কমিশন প্রদান এবং অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক হারে উচ্চ মুনাফা প্রদানের নামে প্রতারণার ঘটনা ঘটিয়েছে (যেমন যুবক, ডেসটিনি ইত্যাদি)। এ ছাড়া অস্বাভাবিক মূল্যছাড় বা ডিসকাউন্টে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানেরও পণ্য বিক্রির নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার নজির রয়েছে (যেমন ই–ভ্যালি)। অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক হারে উচ্চ মুনাফা প্রদান এবং রেফারেলের ভিত্তিতে কমিশন প্রদান করা পিরামিড বা পঞ্জি স্কিমের বা মাল্টি লেভেল মার্কেটিংয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য, যা অতীব ঝুঁকিপূর্ণ ও গ্রাহকের বিনিয়োগ হারানোর নজির তৈরি করেছে। এ রকম প্রতারণামূলক ব্যবসায়ে লাভ থেকে মুনাফা না দিয়ে একদল গ্রাহকের বিনিয়োগের অর্থ থেকে আরেক দল গ্রাহককে তথাকথিত মুনাফা প্রদান করা হয়। এ ধরনের প্রতারণা মানি লন্ডারিংয়ের আওতাভুক্ত অপরাধ বিধায় অতীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া লাইসেন্স ব্যতীত আমানত সংগ্রহ তথা ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনা ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১–এর ৩১ (১) ধারায় প্রদত্ত নির্দেশনার লঙ্ঘন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়েও একই ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হওয়ায় তা বর্তমানে অনুসন্ধানের আওতায় আনা হয়েছে। এমতাবস্থায় গ্রাহকের স্বার্থ সুরক্ষা বিবেচনায় দেশের জনসাধারণকে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে লেনদেন করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত ও বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ প্রদান করা হলো।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র হক র সতর ক ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।