খাগড়াছড়িতে আট পর্যটককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে দীঘিনালা উপজেলার চিটিং টিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন– বেলাল হোসেন, আজিবুর রহমান, সহিদুল ও সুফিয়া বেগম।

এজাহারে বলা হয়, গত ২ মার্চ রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বাসিন্দা মোখলিলুর রহমান ও তাঁর সাত বন্ধু সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। পরদিন তারা খাগড়াছড়ি জেলা সদরে নেমে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাহিন্দ্রযোগে সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে তারা অপহরণের শিকার হন। তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মোট ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ বাবদ আদায় করে অপহরণকারীরা।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো.

খলিলুর রহমান গ্রেপ্তার চারজনসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে দীঘিনালা থানায় একটি মামলা করেন।

দীঘিনালা থানার ওসি মো. জাকারিয়া বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অপহরণ

এছাড়াও পড়ুন:

নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার