খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় আট পর্যটককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (৯ মার্চ) রাতে উপজেলার বোয়ালখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কাঠালতলী (চিটিং টিলা) এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (১০ মার্চ) দীঘিনালা থানার ওসি মো. জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

ওসি জাকারিয়া জানান, রাজশাহীর পুঠিয়া থানার বাসিন্দা মো.

খলিলুর রহমানসহ তার আট বন্ধু সাজেক যেতে ২ মার্চ খাগড়াছড়ির উদ্দ্যেশে রওনা হন। ৩ মার্চ তারা খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের দিকে রওনা হন। দীঘিনালার নয় মাইল এলাকায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেলাল ও আজিবুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি পর্যটকদের গাড়ির গতিরোধ করেন। তারা পর্যটকদের পাশ্ববর্তী একটি আমবাগানে নিয়ে যান।

আরো পড়ুন:

কুমারখালীতে ২ এএসআই হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার 

ছাত্র আন্দোলনে নিহত তানজিন তিশার সহকারীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন

তিনি আরো জানান, পর্যটকদের সারা রাত আটকে রেখে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। তারা বিভিন্ন একাউন্টের মাধ্যমে সাত লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে। পরে তারা অপহৃতদের ছেড়ে দেয়। খবর পেয়ে গতকাল রবিবার রাতে অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়। পর্যটকদের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেলাল, আজিবুর রহমান, সহিদুল ও সুফিয়া বেগমকে বোয়ালখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কাঠালতলীসহ (সিটিং টিলা) বিভিন্ন জায়গায় থেকে গ্রেপ্তার করে। 

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে আসামি করে অপহরণের শিকার মো. খলিলুর রহমান বাদী হয়ে দীঘিনালা থানায় মামলা করেন। আজ সোমবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/রূপায়ন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ অপহরণ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু। দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যটকদের সেতুটিতে উঠতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙামাটি পর্যটক কমপ্লেক্স।

পর্যটক কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে গত সোমবার সেতুর কিছু অংশে পাটাতনের ওপর পানি ওঠে। তবে আজ বুধবার সকাল ছয়টার দিকে পানি বেড়ে সেতুটি তলিয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে সকাল ১০টার দিকে সেতুতে উঠতে পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেতুর পাটাতনের ওপর এখন চার ইঞ্চির মতো পানি রয়েছে। পর্যটকদের জন্য সেতুতে উঠতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও নিকটবর্তী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা সেতু দিয়ে পারাপার করতে পারবেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু