প্যারিসে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে লিভারপুলের বিপক্ষে দাপুটে ফুটবল খেলেও জিততে পারেনি পিএসজি। ম্যাচে নিরঙ্কুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেও শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় লুইস এনরিকের দলকে।

এখন কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে আজ রাতে লিভারপুলের মাঠে জিততেই হবে পিএসজিকে। ১-০ ব্যবধান খুব বড় নয়। কিন্তু ম্যাচটা যে অ্যানফিল্ডে। এই মাঠে লিভারপুলকে হারানো অসম্ভব না হলেও বেশ কঠিনই।

এরপরও পিএসজি কোচ এনরিকে জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। পাশাপাশি তিনি মনে করেন, এই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত যে দল জিতবে, তারাই ফাইনাল খেলবে।

আরও পড়ুনঅবিশ্বাস্য আলিসন, নেমেই গোল এলিয়টের, লিভারপুলের পিএসজি জয়০৫ মার্চ ২০২৫

পিছিয়ে থাকার পরও লিভারপুলকে হারানোর ব্যাপারে আশাবাদী এনরিকে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘যদিও আমরা পিছিয়ে আছি। কিন্তু মাঠে আমরা শুরু থেকে নিজেদের খেলাটাই খেলব। ফলাফল যেমনই হোক (প্যারিসে) আমরা আলাদা কিছু করব না।

পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল, বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে সোয়াপ করে টাকা তোলা যাবে

রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল। এখন থেকে রপ্তানিকারকেরা নিজেদের বৈদেশিক মুদ্রা (এফসি) হিসাব থেকে সোয়াপের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।

আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে ৩০ দিনের পুলে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা এবং রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা-টাকা সোয়াপ চুক্তি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সোয়াপ কী

সার্কুলার অনুসারে, আলোচ্য সোয়াপ চুক্তি বলতে একটি নির্দিষ্ট হারে ও মেয়াদে টাকার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রার স্পট ক্রয় এবং একই সঙ্গে একটি নির্ধারিত তারিখে পুনঃবিক্রয়ের ব্যবস্থাকে বোঝাবে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকের নিজস্ব উৎসের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহৃত হবে। সোয়াপের মেয়াদ ইআরকিউ তহবিলের ব্যবহারযোগ্য মেয়াদের বেশি হতে পারবে না এবং ৩০ দিনের পুল তহবিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দিন মেয়াদি সোয়াপ করা যাবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, সোয়াপের হার নির্ধারণে বাজারভিত্তিক বা খরচভিত্তিক সুদ বা মুনাফার পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া যাবে। আলোচ্য সোয়াপ লেনদেনকে ঋণ বা অর্থায়ন সুবিধা হিসেবে গণ্য করা হবে না। সোয়াপের মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকা শুধু রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চলতি মূলধনের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা যাবে। কোনো ফটকা উদ্দেশ্যে ওই অর্থ ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

শিল্প খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগের কারণে রপ্তানিকারকদের স্বল্পমেয়াদি তারল্য চাপ কমাতে সহায়তা করবে। এতে প্রচলিত রপ্তানি ঋণের ওপর নির্ভর না করেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালাতে পারবেন। পাশাপাশি এটি বাজারভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনাকেও উৎসাহিত করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ