কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দিন ও তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছার নামে ঢাকার উত্তরায় থাকা দুটি ফ্ল্যাট এবং তাদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা চারটি হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব ব্যাংক হিসাবে ৩৯ লক্ষ ৯৫ হাজার ২৬৭ টাকা জমা রয়েছে।

মঙ্গলবার দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

এদিন এসব স্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মো.

আলমগীর হোসেন। 

দুদকের আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩৭ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৭ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রাখার দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামি তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির আগে নিম্নবর্ণিত সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য উল্লিখিত স্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া প্রয়োজন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবর দ ধ অবর দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ