রূপগঞ্জে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের প্রধান আসামি গ্রেফতার
Published: 11th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের প্রধান আসামি জুনায়েদ হোসেনকে (২২) গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) র্যাব-১১, সদর কোম্পানি, নারায়ণগঞ্জ এবং র্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুরের যৌথ টিম ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার রসুলপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার জুনায়েদ হোসেন রূপগঞ্জের তারাব উত্তরপাড়ার রাজু মোল্যার ছেলে। সে রূপগঞ্জের বহুল আলোচিত রাশেদুল ইসলাম ও হৃদয় হত্যা মামলার প্রধান আসামি। র্যাব-১১, সদর কোম্পানী, নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র এএসপি মো.
র্যাব জানায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল তিনটার দিকে তারাব পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের পুরান বাজার এলাকায় শিমুল গ্রুপ ও শ্রাবণ গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয়। উভয় গ্রুপের সদস্যরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
এসময় শিমুল গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষের হৃদয় ও রাশেদুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে আহত করে। পরে তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ ফেব্রুয়ারি রাশেদুল ইসলাম ও হৃদয় মারা যান।
নিহত কিশোর রাশেদুল ইসলাম (১৮) তারাব দক্ষিণ এলাকার আমির হোসেনের ছেলে এবং হৃদয় (২০) রাজু মিয়ার ছেলে। ওই ঘটনায় নিহত হৃদয়ের চাচা মো. তৌহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে রুপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আসামিদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ তৎপরতা শুরু করে। মঙ্গলবার ফরিদপুর জেলার নগরকান্দার রসুলপুর এলাকা থেকে জুনায়েদ হোসেনকে গ্রেফতারে সক্ষম হয় র্যাবের যৌথ আভিযানিক দলটি।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে গ্রেফতার জুনায়েদকে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানায় র্যাব।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ দ ল ইসল ম র পগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
কমিউনিষ্ট পার্টির হাফিজের বিরুদ্ধে ইসমাইলের সংবাদ সম্মেলন
নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে হুমকি ও মে দিবসের সমাবেশ বানচাল করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং ১০ টি শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় জোট, গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির অন্যতম শ্রমিক নেতা এড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল এগারোটায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্রমিক নেতা এড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল অভিযোগ তুলে বলেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন দীর্ঘ ২০ বছর যাবত শ্রমিকদের ন্যায় সংঘত অধিকার আদায়ে দক্ষতা ও সুনামের সংগে দায়িত্ব শীল ভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মহান মে দিবস ও আমাদের শ্রমিক ফেডারেশনের সপ্তম জেলা সম্মেলন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের চাষাড়া শহীদ মিনারে স্থান বরাদ্দের জনা যথানিয়মে আবেদন করিলে সিটি করোপরেশন লিখিতভাবে ১ মে, বৃহস্পতিবার, বিকাল ৪ টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করে এবং আমরা নির্ধারিত ফি প্রদান করি।
তিনি বলেন, অতঃপর বিশিষ্ট কুট ব্যবসায়ী, পাথর ব্যবসায়ী ও কন্ট্রাকটার এবং কমিউনিস্ট পার্টি, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি পদে থাকা মোঃ হাফিজ সে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করে বেড়াচ্ছে যে, গত ১৫ বছর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন তার কথায় চলেছে।
তার ক্ষমতা জোড়ে সমাবেশের স্থান বাতিল করে দিবে। আমাদের জেলার সম্মেলন তিনি অনুষ্ঠিত হতে দিবেন না। আমাদের শ্রমিক সম্মেলন বানচাল করে দিবেন। আমাদের জেলা সম্মেলন হতে দিবেন না।
অতঃপর আমরা এবিষয়ে তার সংগে একাধিক বার যোগাযোগ করিলে সে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংস্কৃতিক জোটের নাম ভাঙ্গিয়ে বলে শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক জোটের প্রোগাম করবে।
আমরা সাংস্কৃতিক জোটের সম্মানিত নেতৃবৃন্দের সংগে আলাপ করিয়া জানিতে পাড়ি সাংস্কৃতিক জোট এই ধরনের কোন প্রোগামের ঘোষনা দেয় নাই বা তাহারা সিটি কর্পোরেশনে এই জন্য কোন আবেদন করেন নাই। মোঃ হাফিজ এই বিষয়ে মিথ্যা প্রচারনা চালাচ্ছে।
আমাদের ধারনা সে আমাদের শ্রমিক সম্মেলন বানচাল করিয়া উদ্দেশ্যমূলক ভাবে নারায়ণগঞ্জ শহরের শান্তি শৃংক্ষলা অবনতি ঘাটাইতে পারে। এবং সে এখনো একই স্থান বিনা অনুমোদিত সময়ে পোস্টার দিয়া প্রচার চালাইতেছে।
উল্লেখ্য, তাহার এই কর্মকান্ড স্থগিত করার জন্য কমিউনিস্ট পার্টিসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে অবগত করিলেও তাহার কর্মকান্ড স্থগিত করে নাই। যার কারনে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ মডেল থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করি, জিডি এন্ট্রি নং-১৫৩৯।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি নাজমূল হাসান নান্নু, জেলা কমিটির সভাপতি এফ এম আবু সাঈদসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।