ঢাকায় কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
Published: 12th, March 2025 GMT
পাঁচ বছর আগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান আজ বুধবার এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন মোহন (২৪), সাব্বির (১৮) ও রাসেল (১৯)। রায় ঘোষণার পর তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার রায়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১৭ জুন ১৩ বছর বয়সী কিশোরী তার এক বান্ধবীকে নিয়ে কামরাঙ্গীরচরে রসূলপুরে চটপটি খেতে যায়। সেখানে তিনজন বন্ধুর সঙ্গে কিশোরীর দেখা হয়। খাওয়াদাওয়া শেষ করে রাত ১১টার দিকে তারা যখন হাসান নগর এলাকায় আসে, তখন আসামি মোহন, সাব্বির ও রাসেল ওই কিশোরীকে ধরে নিয়ে পাশের একটি নির্মাণাধীন বাসায় নিয়ে যান। তাঁরা কিশোরীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন।
ঘটনার দুই দিন পর ওই কিশোরীর পরিবার কামরাঙ্গীরচর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে। আজ এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।