বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যাওয়ার চেষ্টা করেছেন শিক্ষকরা। এ সময় তাদের ওপর জলকামান ও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।

বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই ঘটনায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে দাবি শিক্ষকদের।

জানা যায়, দীর্ঘদিনেও দাবি আদায়ের বিষয়ে ন্যূনতম আশ্বাস না পাওয়ায় বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাচ্ছিলেন তারা। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের মিছিলটি কদম ফোয়ারা কাছাকাছি এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং বোঝানোর চেষ্টা করে। পুলিশ বলে, ‘এতজনকে একসঙ্গে নিয়ে বাসভবনের সামনে যাওয়া সুযোগ নেই। আপনারা চাইলে কয়েকজন প্রতিনিধি মিলে সেখানে যেতে পারেন।’ কিন্তু শিক্ষকরা তাতে রাজি হননি।

পরে বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষকরা সামনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে। তাতেও ফেরানো না গেলে পরে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় অন্তত পাঁচজন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষক লিয়াকত আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দাবি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ। আমরা মিছিল করে যমুনার দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আমাদের পানি (জলকামান) মারা হলো। এত বৈষম্য কেন? সরকার যদি যথাযথ ব্যবস্থা করতো তাহলে কিন্তু আমাদের রাস্তায় দাঁড়াতে হতো না।’

এ বিষয়ে জানতে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তাকে কল করা হলেও কেউ কল রিসিভ করেননি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জলক ম ন শ ক ষকদ র জলক ম ন ব সরক র ব সভবন

এছাড়াও পড়ুন:

এক ঘরে দুই পীর হইতে পারে না: বদিউল আলম মজুমদার

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, একই সংসদীয় আসনে পুরুষ ও নারী—দুজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকলে সেটা কতটুকু কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দ্বৈত প্রতিনিধিত্ব হলে এর সমস্যা হইল, ওই যে আমাদের গ্রামবাংলায় যে কথা আছে, এক ঘরে দুই পীর হইতে পারে না।’

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে ‘নারীর ক্ষমতায়নে সংসদে সরাসরি ভোটে নারী প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন: প্রয়োজনীয়তা, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান যে নির্বাচনপদ্ধতি, সেখানে অনেক সংসদীয় আসনেই সংসদ সদস্যরা নারী সংসদ সদস্যদের যেতেই দেন না। তিনি বলেন, দৈত্ব প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

সংরক্ষিত নারী আসন ১০০টি করা হলে ভয়াবহ মনোনয়ন–বাণিজ্য হবে বলেও মন্তব্য করেন বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে সারা দেশে একঝাঁক নারী নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে সংরক্ষণপদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।

শামা ওবায়েদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ