বাবা বারবার বলে গেছেন, সবার আগে দেশ: সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর
Published: 13th, March 2025 GMT
রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত প্রথম জানাজায় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র–শিক্ষকেরা অংশ নেন।
জানাজার আগে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ফরাসউদ্দিন আহমেদ এবং সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর সন্তান সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বক্তব্য দেন। সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘মৃত্যুর আগে বাবা দুই দিন বারবার একটা কথা বলেছেন, সবার আগে দেশ।’ মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও বলেছেন, ‘আমাকে ফিরে যেতে হবে। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছেলেমেয়েরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে।’ তাঁর হৃদয়-চেতনাজুড়ে ছিল ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। তাঁর খুব কাছের জায়গা ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়।
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর আরও বলেন, ‘বাবা বলতেন, তোমার কয়টা গাড়ি-বাড়ি আছে, তার জন্য মানুষ তোমাকে মনে রাখবে না; বরং মনে রাখবে, তোমার ব্যবহারের জন্য।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ফরাসউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল ৬৫ বছরের। অসাধারণ মানুষ ছিলেন তিনি—সৎ ও পরোপকারী। তাঁর হৃদয়টা ছিল বিশাল।’
ফরাসউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘রুপার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছিলেন মঞ্জুর এলাহী। ব্যবসা, সমাজ ও শিক্ষায় বিপুল অবদান রেখেছেন তিনি। যে কাজে হাত দিয়েছেন, সেখানেই সোনা ফলিয়েছেন।’
জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শামস রহমান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান, বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি মিরান আলী প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ামির স্বপ্নভঙ্গ, ইতিহাস গড়লো ভ্যানকুভার এফসি
কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের রোমাঞ্চকর সেমিফাইনালে লিওনেল মেসি ও তার দল ইন্টার মায়ামিকে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে নাম লিখিয়েছে কানাডার ক্লাব ভ্যানকুভার এফসি। বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা), মায়ামির চেইস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দর্শকদের উপহার দেওয়া হয় গোল, নাটক এবং ৩২টি ফাউলের নাটকীয় এক সন্ধ্যা।
প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে জয় পেয়ে আগেই সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল ভ্যানকুভার। তাই দ্বিতীয় লেগে ইন্টার মায়ামির জন্য লক্ষ্যটা ছিল বেশ কঠিন, কমপক্ষে তিন গোলের ব্যবধানে জয়। কিন্তু সেই লক্ষ্য অধরাই থেকে গেল। উল্টো ৩-১ গোলের হার সইতে হলো ডেভিড বেকহ্যামের মালিকানাধীন দলটিকে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে উড়েই ফাইনালে উঠে যায় কানাডার ক্লাবটি।
ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ইন্টার মায়ামির জন্য আশা জাগানিয়া ছিল। নবম মিনিটেই মেসি ও সুয়ারেজের দারুণ কম্বিনেশনের ফসল হিসেবে জর্ডি আলবা গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলের লিডে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা।
আরো পড়ুন:
দুয়োতে ম্যাচ হেরে কনফাকাফ থেকে বিদায়ের শঙ্কায় মেসিরা
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন মেসি
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে মাঠে নামে ভ্যানকুভার। ম্যাচের ৫১ মিনিটে ব্রেইন হোয়াইট গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। এরপর মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে ইন্টার মায়ামির রক্ষণভাগের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যান পেদ্রো ভিতে। এরপর ম্যাচে ফিরে আসার অনেক চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি মেসির দল।
৭১ মিনিটে ভ্যানকুভারের হয়ে তৃতীয় ও শেষ গোলটি করেন সেবাস্তিয়ান বারহেল্টার। যা ম্যাচের নিয়তি নির্ধারণ করে দেয়। এরপর ইন্টার মায়ামি একাধিকবার আক্রমণ করলেও প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ও শক্ত রক্ষণদেয়াল ভাঙতে ব্যর্থ হয়।
ম্যাচটিতে দুই দলই ১৬টি করে ফাউল করে। যা মিলিয়ে মোট ফাউলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২। ইন্টার মায়ামি ১৭টি শট নেয়, যার মধ্যে ৬টি ছিল অন টার্গেটে এবং মাত্র একটিই জালে ঠাঁই পায়। অন্যদিকে, ভ্যানকুভারের ১০টি শটের ৬টিই লক্ষ্যে ছিল এবং এর মধ্যে তিনটি জালে জড়ায়।
এই হারের ফলে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ফাইনালে খেলার স্বপ্নভঙ্গ হলো মেসি-সুয়ারেজদের। আর ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালের টিকিট কাটলো ভ্যানকুভার এফসি।
ঢাকা/আমিনুল