দাবি আদায়ের নামে কেউ রাস্তা অবরোধ করলে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি
Published: 13th, March 2025 GMT
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, কেউ দাবি আদায়ের নামে রাস্তা আটকাবেন না। সামনে ঈদ, সড়ক অবরোধ করে জনগণের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি বয়ে আনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম যারা করবেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-২-এর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের সঙ্গে বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি আলাপকালে এসব কথা বলেন।
জনগণের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, আপনারা পুলিশকে সহায়তা করুন, পুলিশের কাজের পরিবেশ তৈরি করুন। পুলিশকে প্রতিপক্ষ ভাববেন না, পুলিশের প্রতি আক্রমণ করবেন না। আমাদেরকে দেশের সেবা করার সুযোগ দিন।
আইজিপি সরকারঘোষিত ২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও মার্চ মাসের ১৫ দিনের আংশিক বেতন পরিশোধ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মালিকপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা এই ন্যায়সঙ্গত পাওনা আদায়ের জন্য সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় আপনাদের পাশে থাকবো।
তিনি বলেন, আপনারা কোনো ধরনের গুজবে কান দেবেন না। ভাঙচুর করে নিজেদের কর্মস্থলের ক্ষতি হতে দেবেন না।
আইজিপি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তিনি তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং পেশাগত দায়িত্ববোধের জন্য গর্ব অনুভব হয় বলে উল্লেখ করেন। আইজিপি সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুলিশ সদস্যদের কল্যাণ নিশ্চিতের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রেস বিফ্রিংয়ে সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিজিএমইএ প্রশাসক, অ্যাডিশনাল আইজিপি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, পুলিশ কমিশনার, জিএমপিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের আয়োজনে বিশেষ কল্যাণসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ কল্যাণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইজ প ইন ড স ট র য কল য ণ আইজ প
এছাড়াও পড়ুন:
জনগণের ঐক্য থাকলে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে কবর দিতে পারব: সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘যদি জনগণের ঐক্য থাকে, তাহলে এই দেশে ফ্যাসিবাদ যেমন পালিয়েছে, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকেও আমরা কবর দিতে পারব। আর যে লুটপাটের রাজত্ব, দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছে, সেটাকেও আমরা কবর দিতে পারব।’
আজ শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি। সমাবেশের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ জুলফিকার আহমেদ শাকিলের মা আয়েশা বেগম সমাবেশ উদ্বোধন করেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘লুটপাট, দুর্নীতি আমরা বন্ধ করতে না পারলে দেশে নতুন ক্ষমতাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হবে না। শহীদদের স্বপ্নপূরণে নতুন রাজনৈতিক এবং ক্ষমতাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ক্ষমতা দিয়ে টাকাপয়সা ধনসম্পদ আহরণ করা বাংলাদেশে গুম–খুন, অত্যাচার, ত্রাসের রাজত্বের ভিত্তি ছিল ফ্যাসিবাদী শাসন। ক্ষমতা দিয়ে টাকাপয়সা, ধনসম্পদ আহরণ করতে গিয়ে ব্যাংক, বিমা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সব উন্নয়ন প্রকল্প—সব খেয়ে ফেলেছিল তারা।
এ সময় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের দায়িত্ব নিতে অন্তর্বর্তী সরকার কেন ব্যর্থ হয়েছে, তার ব্যাখ্যা ৫ আগস্টের মধ্যে জানানোর দাবি জানিয়েছেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক লক্ষণ দেখছি, যেন পুরোনো ব্যবস্থাই আবার আমাদের মধ্যে জায়গা করে নিচ্ছে। আমরা দেখলাম শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা এখনো হয়নি। আহতদের চিকিৎসা এখনো হয়নি।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। আজ শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে