২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান খালেদ মাহমুদ সুজন। হাতে ছিল ফুলের তোড়া, চোখে জল, তবু মুখে হাসি। এরপর ২০০৮ সালে একইভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায় নেন মোহাম্মদ রফিক। তবে এরপর দুই দশক পেরিয়ে গেলেও আর কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেওয়ার নজির তৈরি হয়নি।

সম্প্রতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদায় ঘোষণার পর এই প্রসঙ্গ আবার সামনে এসেছে। মাঠ থেকে অবসর নেওয়ার সংস্কৃতি বাংলাদেশ ক্রিকেটে কেন গড়ে ওঠেনি—এই প্রশ্ন ঘুরেফিরে আলোচনায় আসে।

এই বিষয়ে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘ওদের (সিনিয়র ক্রিকেটারদের) ক্যারিয়ার বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অসাধারণ ছিল। মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগ ওদের প্রাপ্য ছিল। যারা ভালোবেসেছে ও সমর্থন দিয়েছে, তারাও চাইত গ্যালারি ভরা দর্শকের হাততালির মধ্যে তারা বিদায় নিক। কিন্তু সেই সুযোগটা আর হলো না। কেন মাঠে অবসর নেয়নি, সেটা ওরাই ভালো বলতে পারবে।’

অনেকে মনে করেন, বোর্ডের (বিসিবি) পরিকল্পনার অভাবেই এমনটা হচ্ছে। তবে এই দাবির সঙ্গে একমত নন সুজন। তিনি বলেন, ‘যখন আমি অবসর নিয়েছিলাম, আগেই জানিয়েছিলাম সেটাই আমার শেষ ম্যাচ। কিন্তু যদি কেউ না জানায়, বোর্ড বুঝবে কীভাবে? ক্রিকেটাররা আগেই বললে বোর্ডও সম্মানজনক বিদায়ের ব্যবস্থা করতে পারে।’

সাম্প্রতিক সময়ে মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে ও মাহমুদউল্লাহ সব ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তাদের সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী বলেই মনে করেন সুজন। ‘ওরা চাইলে হয়তো আরও কিছুদিন খেলতে পারত। কিন্তু মাঠ থেকে বিদায় নিলে সেটা আরও স্মরণীয় হয়ে থাকত।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবসর ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ-২০২৫ এর ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিয়েছে ভারত। নাবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্পোর্টস একাডেমিতে রোববার (০২ নভেম্বর) টস হেরে ভারত আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান সংগ্রহ করেছে।

যে আশা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা উলভার্ট আগে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন সেটা কাজে লাগেনি। ভেজা মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভারতকে অল্পরানে আটকে রাখার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়নি। উদ্বোধনী জুটিতে স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা ১৭.৩ ওভারেই তুলে ফেলেন ১০৪ রান। এই রানে মান্ধানা ফেরেন ৮ চারে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে।

আরো পড়ুন:

মিতালিকে ছাড়িয়ে ইতিহাস গড়লেন মান্ধানা

সুন্দর ঝড়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত

এরপর জেমিমাহ রদ্রিগেজ ও শেফালি টানতে থাকেন দলীয় সংগ্রহকে। ২৮তম ওভারের পঞ্চম বলে শেফালি ফিরেন সেঞ্চুরি থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে। দলীয় ১৬৬ রানের সময় ৭টি চার ও ২ ছক্কায় ৮৭ রান করে ফিরেন তিনি। ১৭১ রানের মাথায় ফেরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জেমিমাহ। আজ তিনি ১ চারে ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি।

সেখান থেকে দীপ্তি শর্মা ও হারমানপ্রিত কৌর চতুর্থ উইকেটে দলীয় সংগ্রহে ৫২ রান যোগ করেন। ৩৯তম ওভারের শেষ বলে ২২৩ রানের মাথায় হারমানপ্রিত ফেরেন ২০ রান করে। ২৪৫ রানের মাথায় আমানজোত কৌরও আউট হন। ১২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।

এরপর দীপ্তি ও রিচা ঘোষ মারমুখী ব্যাটিং করে দলীয় সংগ্রহে ৩৫ বলে ৪৭ রান যোগ করেন। দলীয় ২৯২ রানের মাথায় রিচা ফেরেন ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে। দীপ্তি ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংস খেলে শেষ বলে রান আউট হন। তাতে ভারতের রান ৭ উইকেটে ২৯৮ পর্যন্ত যায়।

দক্ষিণ আফ্রিকার আয়াবোঙ্গা খাকা ৯ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন ননকুলুলেকো ম্লাবা, নাদিনে ডি ক্লার্ক ও ক্লোয়ি ট্রায়ন।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আরব আমিরাতকে ৪৯ রানে গুঁড়িয়ে ইতিহাস গড়ল যুক্তরাষ্ট্র
  • চট্টগ্রামে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা
  • ‘দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব’
  • বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে খুন, এরপর...
  • আপিল বিভাগের বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করলেন নেপালের প্রধান বিচারপতি
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারযুক্ত সংবিধানই জনগণ চায়
  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • বিশ্ব শিক্ষক দিবস: রাবিতে ৩ অধ্যাপককে সম্মাননা
  • টি-টোয়েন্টি থেকে উইলিয়ামসনের অবসরের ঘোষণা
  • ৩০ বছরের শিক্ষকতা জীবনের ইতি টানলেন মুজিবুর রহমান