বিপিএল শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই—জানুয়ারির শুরুতেই পর্দা নেমেছে আসরের। তবে এখনও চিটাগং কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজির খেলোয়াড়দের প্রাপ্য পারিশ্রমিক পরিপূর্ণভাবে মেলেনি। দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন, পেসার শরিফুল ইসলাম এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারি—এই তিনজনসহ প্রায় সবাই অর্ধেক টাকা এখনও পাননি।

২০২৫ বিপিএলের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যুগুলোর একটি ছিল খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক। ফাইনালের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। আজ মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে ডিপিএলের অনুশীলনের ফাঁকে ইমন জানান,

‘৫০ শতাংশ পেয়েছি, আর এখনও পাইনি। বলছে… দিবে, দিবে। কিন্তু এখনও দিচ্ছে না। আমি, শরিফুল, শামীম ভাই—সব দেশি খেলোয়াড়ই বিপিএলের পর কোনো টাকা পাইনি। যা পেয়েছি, বিপিএলের সময়ই পেয়েছি।’

পারিশ্রমিক নিয়ে দুশ্চিন্তা পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে বলেও মন্তব্য করেন ইমন। বাঁহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘আমরা সবসময় পারফরম্যান্সে মনোযোগ দিতে চাই। কিন্তু যখন টাকার চিন্তা মাথায় চলে আসে, তখন মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে।’

এর আগে বিপিএল চলাকালে পারিশ্রমিক ইস্যুতে ইমন নাকি দলের ক্যাম্পে না যোগ দিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন—এমন গুঞ্জনও ছড়িয়েছিল। যদিও পরে তা অস্বীকার করে দুই পক্ষই। তবে চিটাগং কিংসের কর্ণধার সামির কাদের চৌধুরী একবার সরাসরি বলেছিলেন, ‘আমি সন্তুষ্ট না হলে টাকা কেন পাবে!’

শুধু দেশি ক্রিকেটারই নন, ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত বিদেশি হোস্ট ইয়েশা সাগর এবং শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আসা শহীদ আফ্রিদির পুরো পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল র

এছাড়াও পড়ুন:

সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর

জাতীয় ক্রিকেট লিগে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তিনদিনেই জয় পেয়েছে রাজশাহী বিভাগ। ৭ উইকেটে তারা হারিয়েছে খুলনা বিভাগকে। এদিকে সিলেটে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।

তার ব্যাটে ভর করে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে লড়ছে সিলেট। ঢাকার করা ৩১০ রানের জবাবে সিলেটের ৭ উইকেটে রান ২৬০। ৫০ রানে পিছিয়ে তারা। ১৭০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৯৩ রান করে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর। তার সঙ্গে ৫ রানে অপরাজিত আছেন ইবাদত হোসেন। এছাড়া শাহানুর ৩০ ও তোফায়েল ২৭ রান করেন।

আরো পড়ুন:

মাহিদুল-মজিদের সেঞ্চুরির দিনে মুমিনুলের ৮ রানের আক্ষেপ

স্বীকৃতির ১০ বছর পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে ময়মনসিংহ

মিরপুরে খুলনার দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংও যুৎসই হয়নি। এবার ২৫৫ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। ১ উইকেটে ৬৮ রানে দিন শুরু করে তারা। এনামুলের ইনিংস থেমে যায় ৩৪ রানে। মোহাম্মদ মিথুন খুলতে পারেননি রানের খাতা। মিরাজ ৪৮ ও জিয়াউর এবং ইয়াসির মুনতাসির ৩২ রানের দুটি ইনিংস খেলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতেও তাদের স্কোর বড় হয়নি।

১৪৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ২৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি। তাতে ১০৯ রানের লক্ষ্য পায় রাজশাহী। ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

হাবিবুর রহমান সোহান ৬৮ বলে ৬২ রান করেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। ২৫ রান আসে সাব্বির হোসেনের ব্যাট থেকে। সাব্বির রহমান ১২ ও মেহরব ৪ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে ফেরেন। প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ে ফিরল তারা।

কক্সবাজারে ময়মনসিংহ বিভাগ ও রংপুর বিভাগের ম্যাচ বাজে আউটফিল্ডের কারণে ভেস্তে যায়। একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। ২ উইকেট হারিয়ে রংপুরের রান ১৮। এখনও তারা ৫৩৭ রানে পিছিয়ে। ময়মনসিংহ প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৫৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে।

পাশের মাঠে ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় খেলা হয়েছে। আগের দিনের ২ উইকেটে ১১৫ রানের সঙ্গে ৫১ রান যোগ করেন বরিশাল বিভাগ। খেলা হয়েছে কেবল ১৫ ওভার। জাহিদুজ্জামান খান ৩২ ও সালমান হোসেন ইমন ৭৫ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম ইনিংসে এখনও তারা ১৯২ রানে পিছিয়ে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লরা উলভার্ট: হিমালয়ের চূড়ায় এক নিঃসঙ্গ শেরপা
  • সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর