দেশের নদীগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তির যোগসাজশে এ সর্বনাশ হয়েছে। বর্তমান প্রশাসন নদী রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় নতুন ব্যবস্থাপনা জরুরি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে কাউন্সিল গড়ার পাশাপাশি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে শক্তিশালী করা গেলে নদীগুলো বাঁচানো সম্ভব হবে। 

আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে শুক্রবার রংপুরে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রিভারাইন পিপল ক্লাব নগরীর প্রয়াস সেনাপার্কসংলগ্ন ঘাঘট নদে দাঁড়িয়ে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। 

এ সময় বেরোবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও রিভারাইন পিপলের পরিচালক ড.

তুহিন ওয়াদুদ বলেন, নদী সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা ডিসি, ইউএনও ও এসিল্যান্ডরা ব্যর্থ হয়েছেন। দেশে নদী দখলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে এসব পদের কর্মকর্তারা জড়িত। এ জন্য নতুন ব্যবস্থাপনা চাই। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন থেকে সরিয়ে এবং আইন সংস্কার করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে হবে। এ ছাড়া বিভাগীয় পর্যায়ে কমিশনের কার্যালয় এবং ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগের ব্যবস্থাও করতে হবে। 

রিভারাইন পিপল ক্লাবের আহ্বায়ক ছাওমুন পাটোয়ারী সুপ্তর সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন বেরোবির শিক্ষক ও আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা খাইরুল ইসলাম পলাশ, রিভারাইন পিপল ক্লাবের সংগঠক শামসুর রহমান সুমন, মইন উদ্দীন, আজিজুল হক, শাহরিয়ার নাফিস প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নদ ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় শ্রীশ্রী সর্বজনীন দুর্গামন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে তারা এই মানববন্ধন করে। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সময় লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে আটক পরেশ চন্দ্র শীল ও তাঁর ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র শীলের মুক্তির দাবিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের অত্যাচার–নির্যাতনের প্রতিবাদ জানানো হয়।

মানববন্ধনে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ কুমার হালদার বলেন, রাষ্ট্রীয় মদদে বুলডোজার দিয়ে খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির উচ্ছেদ এবং মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

খিলক্ষেতের মন্দির ভাঙার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান প্রসেনজিৎ কুমার হালদার। তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকারকে বিষয়টি সমাধান করতে হবে। তা না হলে ৭২ ঘণ্টা পর ঢাকা থেকে খিলক্ষেত অভিমুখে লংমার্চ করা হবে। ভাঙা মন্দির পুনর্নির্মাণে সহায়তা দিতেও সরকারের প্রতি দাবি জানান প্রসেনজিৎ কুমার।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্র কুমার নাথ, হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের পক্ষে প্রদীপ কান্তি দে, সুশান্ত অধিকারী, তন্ময় মৌলিক, তিয়াশ সরকার, সুদীপ্ত প্রামাণিক, সাজেন কৃষ্ণ বল, পিজুস দাস, পলাশ সেন, পিংকু ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মানববন্ধনে যাওয়া দোকান কর্মচারীকে পিটুনি
  • পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
  • যশোরে অধিগ্রহণ ছাড়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপনের কাজ বন্ধ করে দিলেন জমিমালিকেরা
  • জমির মালিককে না জানিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধ
  • চবি বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবি
  • বন্দরে সরকারি খাল ও বাজার অবমুক্তির জন্য  মানববন্ধন
  • মন্দির ভেঙে দেওয়ার ঘটনা মনকেও ভেঙে দিয়েছে: ঐক্য পরিষদের সভাপতি
  • নোয়াখালীতে মাদ্রাসাছাত্র ‘হত্যার’ বিচার দাবিতে মানববন্ধন
  • আকিজ সিমেন্ট ও ফিড ফ্যাক্টরীর বায়ু দূষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন 
  • খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন