সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না, এই বাক্যটি চিরন্তন সত্য। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ক্ষেত্রে এতদিন সংশয় রয়ে গিয়েছিল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতেই সব সংশয় দূর হয়ে গেল। দল এখন পুরোপুরি তরুণদের। আর এদের মাঝেই আশা দেখছেন নাজমুল আবেদিন ফাহিম।

জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিকল্প তৈরি ছিল। এখনো আছে জানিয়ে ফাহিম বলেন, "সময় এলে তো পুরোনোদের যেতেই হবে। কিন্তু গত কিছুদিন আমরা নতুন কিছু খেলোয়াড়দের দেখেছি যারা যথেষ্ট যোগ্যতা রাখে জাতীয় দলে খেলার। আমরা যদি মিডিয়াতেও দেখি, অনেক আলোচনায় ও কেন দলে নেই, সে কেন নেই। এ নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্কও দেখি। এর মানে হচ্ছে যারা চলে যাবে, তাদের বিকল্পও আমাদের হাতে আছে।"

সিনিয়ররা চলে যাওয়ায় নতুনরা কতটুকু মানিয়ে নিতে পারবে, এমন সংশয়ও থাকছে। তবে ফাহিম কোন সমস্যা দেখছেন না। তার মতে, নতুনদের মানিয়ে নিতে সময় লাগলেও প্রতিভা নিয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।

এ প্রসঙ্গে ফাহিম বলেন, "আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তারা কেমন করবে, এটা আগে থেকে বলা মুশকিল। কিন্তু ওদের যতটুকু আমরা দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে ওরা হয়তো করতে পারবে। হতে পারে একটু সময় লাগতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় নতুন যে প্রজন্ম উঠে আসছে, সেখানে যথেষ্ট প্রতিভা আছে। যোগ্য হিসেবে তারা দলে সুযোগ পাবে।"

জাতীয় দলে সিনিয়র ক্রিকেটের বলতে এখন শুধু মুশফিকুর রহিম। কেবল সাদা পোশাকে খেলবেন মুশফিক। কয়েকদিন আগেই ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছেন এই ক্রিকেটার। এরপর অবসর নিয়েছেন রিয়াদ। তাদের এই সিদ্ধান্ত সঠিক সময়েই নিয়েছেন বলে ফাহিমের অভিমত। এতে তরুণরা পর্যাপ্ত সুযোগ পাবে বলে জানালেন তিনি।

ফাহিম আরো বলেন, "আমার মনে হয় এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আমরা সময় মতো পদক্ষেপগুলো নিই এবং নতুনদের সুযোগ দেই। তাদের বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তারা যোগ্য। আমরা সবাই যদি মনে করি তারা যোগ্য না। যারা চলে যাচ্ছে তাদের চেয়ে খারাপ। তাদের মতো খেলোয়াড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমার মনে হয় না নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে। আমাদের ও তাদের বিশ্বাস করতে হবে তারা যোগ্য। আমি বিশ্বাস করি তারা খুব ভালো পারফরম্যান্স করবে।"

ঢাকা/রিয়াদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম’—তামিমের আবেগঘন স্বীকার

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল সমকালের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে তার আন্তর্জাতিক অবসর অপ্রত্যাশিত বা আবেগঘটিত কোনো সিদ্ধান্ত নয়। বরং ছয় থেকে আট মাস ধরে চলা দৃঢ় মানসিক চাপ ও দল থেকে বঞ্চনার কারণেই তিনি বাধ্য হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দিতে।

তামিম বলেন, ‘যখন ২০২৩ সালে খবরটা দিলাম, অনেক মিডিয়া ধারণা করেছে আবেগে ছেড়েছি। কিন্তু সত্যিই, আমি দীর্ঘ সময় সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলাম।’

এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তামিম যোগ করেন, ‘সেখানে আমি একা অনুভব করতে শুরু করি। আমি সব সময় সবাইকে নিয়ে গল্প করতে পছন্দ করি। আড্ডা দিতে ভালোবাসি। হঠাৎ এসব থেকে আমাকে একা করে দেওয়া হলো। সেই অভাবটা আমি মেনে নিতে পারিনি।’

তামিম জানালেন, ‘অবসর জানাতে আমার পরিবারের সঙ্গেই কথা হয়েছে। হ্যাঁ, যেদিন ঘোষণা দিয়েছি, সেদিন আবেগাপ্লুত ছিলাম। তবে বেশ আগেই যে প্রেক্ষাপট তৈরি হতে শুরু করেছে, তা অনেকেই জানেন না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নতুন চক্রে ফাইনালে চোখ শ্রীলঙ্কার
  • টাইমড আউট নিয়ে ম্যাথুজ, ‘আমাকে টার্গেট করা হয়েছিল’
  • ‘আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম’—তামিমের আবেগঘন স্বীকার