অভিনয়ের ঘোষণা দিয়ে ওয়ার্নার বললেন—‘ভারতীয় সিনেমা, আমি আসছি’
Published: 15th, March 2025 GMT
গুঞ্জন ছিল অনেক দিন ধরে। তবে যে সিনেমায় অভিনয় করা নিয়ে কথা রটেছিল, সেই ‘পুষ্পা’ সিনেমায় ডেভিড ওয়ার্নারকে দেখা যায়নি। কিন্তু হঠাৎ করেই চলতি মাসের শুরুতে ‘রবিনহুড’ সিনেমায় ওয়ার্নারের অভিনয়ের কথা জানান ভারতের প্রযোজক রবি শংকর। এবার ওয়ার্নার নিজেই জানালেন, ভারতীয় সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন।
আজ ‘রবিনহুড’ সিনেমায় ওয়ার্নারের পোস্টার মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যেখানে পেশাদার অভিনেতাদের মতোই দেখা যাচ্ছে ওয়ার্নারকে। অস্ট্রেলিয়ান এই কিংবদন্তিকে স্বাগত জানিয়ে পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘বাউন্ডারি থেকে বক্স অফিস, ভারতীয় সিনেমায় স্বাগতম।’
পোস্টারটি এক্সে শেয়ার দিয়ে ওয়ার্নার ভারতীয় সিনেমায় পা রাখার ঘোষণা দিয়ে লিখেছেন, ‘ভারতীয় সিনেমা, আমি আসছি! রবিনহুডের অংশ হতে পেরে রোমাঞ্চিত। এই সিনেমার শুটিং অনেক উপভোগ করেছি।’
ছবির মুক্তির তারিখও জানিয়েছেন ওয়ার্নার। ২৮ মার্চ মুক্তি পাবে ছবিটি। তেলেগু ভাষার এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন তেলেগু হিরো নিতিন। সিনেমার পরিচালক ভেঙ্কি কুদুমুলার।
আরও পড়ুনএবারের আইপিএলে কোন দলে কে অধিনায়ক৬ ঘণ্টা আগেতেলেগু ভাষাভাষীর সঙ্গে ওয়ার্নারের সম্পর্কটা অনেক আগে থেকে। অস্ট্রেলিয়ার এই সাবেক ওপেনার আইপিএলে সাত মৌসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ৯৫টি ম্যাচ খেলেছেন। তেলেগু ভাষার রাজ্য হায়দরাবাদের একমাত্র আইপিএল শিরোপা এসেছে এই ওয়ার্নারের হাত ধরেই। এবার আইপিএলে ওয়ার্নারকে কেউ না কিনলেও হায়দরাবাদের সমর্থকেরা নিশ্চয়ই তাঁকে মিস করবেন।
এক সময় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য়দর ব দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।