বাংলাদেশি ২৬ জেলেকে ফেরত আনলো বিজিবি
Published: 15th, March 2025 GMT
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কূটনৈতিক তৎপরতা ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হাতে আটক ২৬ জন বাংলাদেশি জেলে দেশে ফিরে এসেছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে বিজিবির মধ্যস্থতায় তাদের ফেরত আনা হয়।  
বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, টেকনাফের কে কে খাল এবং শাহপরীর দ্বীপ ট্রলারঘাট থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগরে যাওয়া এসব জেলে ভুলবশত বাংলাদেশ-মিয়ানমার জলসীমার শূন্য রেখা অতিক্রম করে। এ সময় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
জেলেদের মুক্ত করতে বিজিবির হস্তক্ষেপ কামনা করা হলে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) আরাকান আর্মির সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন করে। দীর্ঘ মধ্যস্থতার পর শুক্রবার বিকেলে আটক জেলেদের ফেরত আনা সম্ভব হয়। এছাড়া আরাকান আর্মির জব্দ করা একটি মাছ ধরার নৌকাও ফেরত এনেছে বিজিবি। বর্তমানে ফেরত আসা জেলেদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরো পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়িতে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
নৌকাসহ ১৯ মাঝিমাল্লাকে অপহরণ করল আরাকান আর্মি
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “দেশের নাগরিকদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তায় বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে।”
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আর ক ন আর ম
এছাড়াও পড়ুন:
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জামায়াত-বিএনপির প্রার্থী হলেন ২ ভাই
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কুড়িগ্রাম-৪ আসন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এই আসনে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন আপন দুই ভাই। ফলে স্থানীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরো পড়ুন:
মনোনয়ন না পেয়ে হাজী ইয়াছিনের সমর্থকদের মহাসড়কে বিক্ষোভ
গভীর রাতে সীতাকুণ্ডের ৪ বিএনপি নেতা বহিষ্কার
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে প্রার্থী হিসেবে আজিজুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন বিএনপি প্রার্থীর আপন ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক। দুই ভাইয়ের এই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতা এখন এলাকার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হয়ে উঠেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
জাতীয় সংসদের এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭১১ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৯ জন। কুড়িগ্রামের রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই আসনটি ঐতিহাসিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলেরই শক্ত ঘাঁটি হিসেবে কুড়িগ্রাম-৪ দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। ফলে দুই ভাইয়ের মুখোমুখি লড়াই আসনটিকে জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত আসনে পরিণত করেছে।
এক প্রবীণ রাজনীতিক বলেন, “রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারীর ইতিহাসে এমন দৃশ্য প্রথম। ভাইয়ের বিপরীতে ভাই-এটা নির্বাচনী মাঠে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। জনমনে প্রশ্ন-কে এগিয়ে থাকবেন?”
স্থানীয়রা বলছেন, দুই দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা, তৃণমূল নেতাকর্মীদের সক্রিয়তা ও প্রার্থীদের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার ওপরই নির্ভর করবে কে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবেন।
জামায়াতের প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাক বলেন, “আমার বড় ভাই বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন। তিনি যদি সত্যি মনোনয়ন পেয়ে যান, তাহলেও আমাকে পরাজিত করতে পারবে না। কেননা জামায়াতের জনপ্রিয়তা এখন অনেক বেড়েছে। দুই ভাই প্রার্থী হলেও নির্বাচনে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।”
বিএনপি প্রার্থী আজিজুর রহমান বলেন, “আমার ছোট ভাই একসময় বিএনপি করতো। আমার কারণে সে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তীতে জামায়াতে যোগদেন, সেই দলের প্রার্থী হয়েছেন।”
তিনি আরো বলেন, “আমাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা না করলে আমার পরিচয় এবং পারিবারিক ইমেজের কারণে আমার ছোট ভাই এককভাবে নির্বাচনে সুবিধা নিতে পারত। তবে, আমি প্রার্থী হওয়ায় সেই সুযোগ থেকে সে বঞ্চিত হলো। জনগণ আমাকেই চাইছে। তাই আমি আশা করব, আগামী নির্বাচনে দল আমাকে ফাইনাল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেবে।”
ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ