পাবনার দুই এতিম শিশুর দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
Published: 15th, March 2025 GMT
বাবার মৃত্যুর পর দুই সন্তান ফেলে মা চলে যান অন্যত্র। এর পর থেকেই দুই ভাই ইমামুল হক (৮) ও ছোট ভাই আবদুল্লাহ (৪) দাদা রাজু প্রামাণিকের বাড়িতে মানবেতর জীবন পার করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ভিডিও দেখে পাবনার আটঘরিয়ার সেই দুই এতিম অসহায় শিশুর দায়িত্ব নিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর নির্দেশে ‘আমরা বিএনপির পরিবার’ এর পক্ষ থেকে শনিবার সকালে আটঘরিয়ার চাঁদভা ইউনিয়নের সঞ্জয়পুরে দুই শিশুর হাতে তারেক রহমানের অনুদান তুলে দেওয়া হয়। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ধারাবাহিকভাবে তাদের মাসিক সাহায্য দেওয়ার।
জানা গেছে, চার বছর আগে সঞ্জয়পুরের রাজু প্রামাণিকের ছেলে আলতাফ প্রামাণিক এক শিশু ছেলে ও গর্ভবতী স্ত্রী রেখে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এর কয়েক মাস পর স্ত্রী দ্বিতীয় সন্তান প্রসব করে ওই দিনই তাদের ছেড়ে চলে যান। আর খোঁজখবর নেননি। অসহায় দুই শিশুর দায়িত্ব নেন দরিদ্র রাজু প্রামাণিক। বাড়ির পাশে ছোট একটা দোকান দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন তিনি। তাদের এমন করুণ অবস্থার একটি ভিডিও তারেক রহমান দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে খুঁজে বের করে আমরা বিএনপি পরিবারকে নির্দেশনা দেন।
অসহায় এই পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহমর্মিতার বার্তা ও এতিম দুই শিশুর জন্য আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে ঢাকা থেকে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন অসহায় এই পরিবারের খোঁজখবর নেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প বন ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন পর ব র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।
ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন।
লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।
ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/টিপু