রাজশাহীতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
Published: 15th, March 2025 GMT
রাজশাহীতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে স্টেশন থেকে ‘পদ্মা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটির বিকেল চারটায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
এর আগে বেলা দুইটার দিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ‘বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস’ ও ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুটি ট্রেনে যাত্রী না থাকায় ও গতি কম থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে দুটি ট্রেনের দুটি কোচ লাইনচ্যুত ও চারটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সাধারণত ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’ ট্রেন রাজশাহী থেকে ঢাকা ছেড়ে আসার সময় ‘পদ্মা এক্সপ্রেস’ নামে যাতায়াত করে। সংঘর্ষের ঘটনায় ধূমকেতু এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ায় আজ ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি পদ্মা এক্সপ্রেস নামে সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন হিসেবে ছেড়ে গেছে। লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সঠিক সময়ে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস হিসেবে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওয়াশপিট থেকে স্টেশনের দিকে আসছিল। তখন ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশন থেকে ওয়াশপিটের দিকে যাচ্ছিল। সিগন্যাল পয়েন্টে সমস্যা থাকায় ট্রেন দুটির মধ্যে দুপুরে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই ট্রেনের দুটি কোচ লাইনচ্যুত হয়। পাশাপাশি দুই ট্রেনের চারটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে বিকেলে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে ট্রেন দুটি সরিয়ে নেয়। ক্ষতিগ্রস্ত লাইনও সংস্কার করা হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’
আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।
পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’
শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি