রাজশাহীতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে স্টেশন থেকে ‘পদ্মা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটির বিকেল চারটায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।

এর আগে বেলা দুইটার দিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ‘বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস’ ও ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুটি ট্রেনে যাত্রী না থাকায় ও গতি কম থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে দুটি ট্রেনের দুটি কোচ লাইনচ্যুত ও চারটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সাধারণত ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’ ট্রেন রাজশাহী থেকে ঢাকা ছেড়ে আসার সময় ‘পদ্মা এক্সপ্রেস’ নামে যাতায়াত করে। সংঘর্ষের ঘটনায় ধূমকেতু এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ায় আজ ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি পদ্মা এক্সপ্রেস নামে সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন হিসেবে ছেড়ে গেছে। লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সঠিক সময়ে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস হিসেবে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওয়াশপিট থেকে স্টেশনের দিকে আসছিল। তখন ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশন থেকে ওয়াশপিটের দিকে যাচ্ছিল। সিগন্যাল পয়েন্টে সমস্যা থাকায় ট্রেন দুটির মধ্যে দুপুরে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই ট্রেনের দুটি কোচ লাইনচ্যুত হয়। পাশাপাশি দুই ট্রেনের চারটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে বিকেলে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে ট্রেন দুটি সরিয়ে নেয়। ক্ষতিগ্রস্ত লাইনও সংস্কার করা হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইনচ য ত স ঘর ষ র

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ