কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার জাপানি কৌশল ‘গেইদো’
Published: 16th, March 2025 GMT
কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার জাপানি পদ্ধতির নাম ‘গেইদো’। এই পদ্ধতিতে সফল হওয়ার প্রথম ধাপ হলো যে কাজটি শিখছেন তার প্রতি মানসিকভাবে প্রতিশ্রুতিশীল হওয়া। ‘গেইদো’র তত্ত্ব অনুসারে, দক্ষতা প্রতিভার ওপর নির্ভর করে না, এটি নির্ভর করে প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়ার ওপর। একই সঙ্গে মনে রাখা দরকার, রাতারাতি সেরা হওয়া সম্ভব নয়। ‘সেরা হওয়া’ একটি গন্তব্যমাত্র, সেই দিকেই যাত্রা অব্যাহত রাখতে হয়।
গেইদোর তিন ধাপ
প্রতিশ্রুতি: কাজে সফল হতে হলে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যস্থির করতে হবে। তাৎক্ষণিক ফলাফল আশা করা যাবে না।
আরো পড়ুন:
রোজা রেখে টুথপেস্ট ব্যবহার করে দাঁত ব্রাশ করা যাবে?
আছিয়া চলে গেলো, আমরা কি প্রতিবাদ থামিয়ে দেবো?
নম্রতা: আপনি কর্মক্ষেত্রে যে মানুষটির কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শিখছেন, তার কাছে স্বীকার করতে হবে যে আপনি তার থেকে কম পারেন বা কম বোঝেন। কাজে পারদর্শী এবং দক্ষ ব্যক্তির কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করুন। দক্ষ হয়ে উঠুন।
সাহস: লক্ষ্য স্থির করে কাজের দক্ষতা অর্জনের পর মৌলিকতার উপর জোর দিতে হবে। এতে আপনি কর্মক্ষেত্রে বাকি সবার থেকে আলাদা হতে পারবেন। কর্মক্ষেত্রে তখন আপনি শুধুমাত্র একজন কর্মী নন বরং একং দক্ষ শিল্পী হিসেবে উপস্থাপিত হতে পারেন।
‘গেইদো’র দর্শন এখন পুরো পৃথিবীতেই ধীরে ধীরে জনপিয়তা লাভ করছে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫