আইপিএলকে টেক্কা দিতে সৌদি আনছে ৬ হাজার কোটির লিগ
Published: 16th, March 2025 GMT
বিশ্ব ক্রিকেটে বড়সড় চমক নিয়ে আসছে সৌদি আরব। আইপিএলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার একটি বৈশ্বিক টি-টোয়েন্টি লিগ চালুর পরিকল্পনা করছে দেশটি। অস্ট্রেলিয়ার ‘দ্য এজ’ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেনিসের গ্র্যান্ড স্ল্যাম মডেলে এই লিগ আয়োজিত হবে, যেখানে আটটি দল চারটি ভেন্যুতে অংশ নেবে।
লিগটি সৌদির ‘এসআরজে স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টস’-এর পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠছে। এই প্রতিষ্ঠানটি দেশটির এক ট্রিলিয়ন ডলারের তহবিলের অংশ। লক্ষ্য—বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন দিগন্ত তৈরি ও বিকল্প রাজস্ব উৎস সৃষ্টি। বিশেষ করে, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বাইরেও ক্রিকেটের অর্থনৈতিক ভিত্তি দৃঢ় করাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য।
এই লিগের পেছনে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ও প্লেয়ার ম্যানেজার নিল ম্যাক্সওয়েল। তিনি এটিকে আইপিএল, বিগ ব্যাশ ও অন্যান্য টি-টোয়েন্টি লিগের সমকক্ষ করার লক্ষ্যে কাজ করছেন।
সৌদি আরব ইতোমধ্যে ফুটবল, গলফ, ফর্মুলা ওয়ান ও বক্সিংয়ে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। ক্রিকেটেও আগ্রহ বাড়িয়েছে তারা। ২০২৫ সালের আইপিএলের নিলাম জেদ্দায় আয়োজন করে ক্রিকেট বিশ্বে আলোচনায় এসেছে সৌদি। এছাড়া ক্রিকেট উন্নয়নে ইতোমধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে দেশটি এবং নতুন লিগে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে লিগটি শুরু করতে হলে আইসিসি, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং বিশেষ করে বিসিসিআইয়ের অনুমোদন প্রয়োজন হবে, যা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এই ‘গ্র্যান্ডস্লাম টি-টোয়েন্টি লিগ’ যদি বাস্তবায়ন হয়, তাহলে তা বিশ্ব ক্রিকেটে বিপ্লব ঘটাতে পারে এবং ছোট ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর জন্যও নতুন সুযোগের দুয়ার খুলে দিতে পারে। সৌদির এই উদ্যোগ তাদের ‘ভিশন ২০৩০’-এর কৌশলগত অংশ, যার লক্ষ্য ক্রীড়া বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তন সাধন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স দ আরব
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’