বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও কমে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। জানুয়ারিতে ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। এর আগে গত ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। সাম্প্রতিক সময়ের এ প্রবৃদ্ধি যে কোনো সময়ের তুলনায় কম। এর আগে করোনা অতিমারির পর ২০২১ সালের মে মাসে একবার বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে নেমেছিল। এ ছাড়া বেশির ভাগ সময় প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে ছিল।

ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, উচ্চ সুদহারের কারণে ব্যবসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় এখন বিনিয়োগ চাহিদা কম। ডলার সংকট কিছুটা কাটলেও এখনও নানা সমস্যা রয়েছে। আবার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এর মধ্যে আমানত প্রবৃদ্ধি কমে সাড়ে ৭ শতাংশের নিচে নামায় ব্যাংকগুলোর হাতে বিনিয়োগযোগ্য তহবিল কম। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাসের সংকট এখনও কাটেনি। আবার দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর যাদের হাতে টাকা রয়েছে, তাদের অনেকেই পলাতক। সব মিলিয়ে ঋণ প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮০ হাজার ১১০ কোটি টাকা। আগের বছরের একই মাস শেষে যা ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা ছিল। বর্তমানের এ প্রবৃদ্ধি গড় সুদহারের অনেক কম। বর্তমানে ব্যাংক ঋণের গড় সুদহার রয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে যা ৮ শতাংশের নিচে ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ২০০৫-০৬ অর্থবছর থেকে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির তথ্য রয়েছে। দীর্ঘ এ সময়ে শুধু ২০২১ সালের মে মাসে একবার ঋণ প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের নিচে নেমেছিল। করোনা-পরবর্তী সময়ে ওই মাসে প্রবৃদ্ধি হয় ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর বেসরকারি খাতে সর্বোচ্চ ঋণ প্রবৃদ্ধি ২৫ দশমিক ১৮ শতাংশে উঠেছিল ২০০৭-০৮ অর্থবছরে। পরের অর্থবছর প্রবৃদ্ধি হয় ২৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। ওই সময় বিভিন্ন উপায়ে ঋণ নিয়ে অনেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেন। ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ব্যাপক ধসের পর বেসরকারি খাতের ঋণে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরও ২০১৯ সালের নভেম্বরের আগ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি সব সময় দুই অঙ্কের ঘরে ছিল। ওই মাসে প্রবৃদ্ধি কমে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে নেমেছিল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঋণ ব সরক র ৭ দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা কমেছে স্কয়ার ফার্মার

চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) মুনাফা কমেছে স্কয়ার ফার্মার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটের ঘোষণায় জানা গেছে, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ৬ দশমিক ৮৩ টাকা; ২০২৪ সালের একই সময় যা ছিল ৫ দশমিক ৫৫ টাকা। অর্থাৎ জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে প্রায় ২৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।

সামগ্রিকভাবে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত স্কয়ার ফার্মার মুনাফা বেড়েছে। জুলাই ২০২৪ থেকে মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত ৯ মাসে কোম্পানিটির সম্মিলিত ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫ টাকা; জুলাই ২০২৩ থেকে মার্চ ২০২৪ সময় যা ছিল ১৮ দশমিক ২৪ টাকা। এ সময় কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ১৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে স্কয়ার ফার্মার শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো বা নগদ প্রবাহ কমেছে। এই সময় নগদ প্রবাহ ছিল ১১ টাকা ৯০ পয়সা; আগের অর্থবছরের একই সময়ে অর্থপ্রবাহ ছিল ১৭ দশমিক ৩২ টাকা। ৩১ মার্চ ২০২৪ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য ছিল ১৫১ দশমিক ৯৪ টাকা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন তারিখে যা ছিল ১৪২ দশমিক শূন্য ৫ টাকা।

২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত দেশে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং নগদ প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ওই সময় দেশীয় ক্রেতাদের অতিরিক্ত ঋণসুবিধা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোম্পানি বিমা দাবি পেয়েছে। সেই সব কারণ এখন আর নেই। ফলে তা কমে এসেছে।

গত অর্থবছর রেকর্ড লভ্যাংশ দিয়েছে দেশের স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। গত জুনে সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের ১১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। গত বুধবার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় লভ্যাংশের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সব ধরনের খরচ ও কর বাদ দেওয়ার পর স্কয়ার ফার্মা প্রকৃত মুনাফা করেছে ২ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই মুনাফার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে স্কয়ার ফার্মার মুনাফা ১৯৫ কোটি টাকা বা সোয়া ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৬১ পয়সায়। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ২১ টাকা ৪১ পয়সা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ শতাংশ
  • অকার্যকর সিসি ক্যামেরা, পানি নেই ছয় মাস
  • তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা কমেছে স্কয়ার ফার্মার
  • ৯ মাসে ১৪ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা
  • শিক্ষার মানোন্নয়নে জিডিপির ৪ শতাংশ বরাদ্দ প্রয়োজন
  • ৯ মাসে ৪,৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা ওয়ালটনের
  • যমুনা অয়েলের মুনাফা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ
  • ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার মামলায় শুনানিতে আদালত বিব্রত
  • নাসির-তামিমার মামলায় বিব্রত আদালত, অন্য আদালতে বদলি
  • নাসির-তামিমার মামলার শুনানি বিব্রত আদালত, বদলির আদেশ