চাঁদের আলোয় মখমলি হাওয়া আর সুস্বাদু খাবারের মেলবন্ধনে প্রথমবারের মতো ঢাকার প্রাণ কেন্দ্রে এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল সিজন ১’! এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেডের বিশেষ এই আয়োজন গড়তে যাচ্ছে এক স্মরণীয় রাত, যেখানে খাবার আর বিনোদন মিলবে এক অনন্য মোড়ে। 

ভোজন রসিকরা উপভোগ করতে পারবেন প্রচলিত সব খাবারের পাশাপাশি সিজলিং বারবিকিউ – ধোঁয়া ওঠা গরম কাবাব আর গ্রিল, ভিন্ন স্বাদের বাহারি সব স্ট্রিট ফুড, রঙিন সব মিষ্টির ভেলকি, গরম ও ঠান্ডা পানীয় স্টেশন এবং ইফতার ও সেহরির বিশেষ আয়োজন – রমজানের আনন্দকে বাড়িয়ে করবে দ্বিগুণ! যেখানে একই ছাদের নিচে থাকবে ৪০টিরও বেশি দেশি-বিদেশি রেস্টুরেন্ট ও ফুড ব্র্যান্ড।

এটা শুধু একটি ফুড ফেস্টিভ্যাল নয় এখানে খাবারের পাশাপাশি থাকবে বিনামূল্যে আকর্ষণীয় সব বিনোদনের ব্যবস্থা। একই ছাদের নিচে অতিথিরা খাবার গ্রহণের পাশাপাশি উপভোগ করতে পারবেন  জনপ্রিয় স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান মেহেদি তরু এবং তাহসিন এম খানের সরাসরি পারফরম্যান্স ও ফায়ার স্পিনিং শো। এছাড়াও ছোট্ট সোনামণিদের জন্য থাকবে আনলিমিটেড খেলাধুলার ব্যবস্থা। 

শহরের প্রাণকেন্দ্র তেজগাঁওয়ের আলোকিতে এই জমজমাট উৎসবটি ১৮ ও ১৯ মার্চ বিকাল ৪টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত চলবে। বিকাল থেকে শুরু হবে উৎসবের আমেজ, আর চলবে গভীর রাত পর্যন্ত! পুরো প্রাঙ্গণ জুড়ে থাকবে হাজারো স্বাদের সমারোহ আর দারুণ সব আয়োজন! মুনলাইট ফেস্টিভ্যালে খাবারের পাশাপাশি থাকবে চমকপ্রদ আয়োজন। এতে মেহেদি কর্নার, ক্লে স্টেশনের সঙ্গে আরো থাকবে জনপ্রিয় সব সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের আনাগোনা। মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল সিজন ১ এর সম্পূর্ণ ইভেন্টটি লাইভ করবেন জনপ্রিয় ফ্যাশন মডেল বুশরা কবির। আরও উপস্থিত থাকবেন জনপ্রিয় ফুড ব্লগার ফাবিহা নওশীন প্রভা, ইফরীত তাহিয়া প্রমুখ।

ইভেন্টটির স্পনসর করছে ফুডেলা, আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক, আশিয়ান সিটি এবং বেভারেজ স্পনসর হিসেবে থাকছে পার্টেক্স স্টার গ্রুপের মাম। ধারণা করা হচ্ছে, এটি ২০২৫ সালের এখন পর্যন্ত সব চাইতে বড় ফুড ফেস্টিভ্যাল হতে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ইতোমধ্যেই ঝড় তুলেছে ‘মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল’ এর প্রচারণা! জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা এই উৎসব নিয়ে রীতিমতো মাতিয়ে তুলছেন সবাইকে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জনপ র য়

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় এবার ২৫০টি মন্দিরে দুর্গাপূজা, বেড়েছে ২২টি মন্ডপ

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার মন্ডপগুলোতে চলছে নানা প্রস্ততি। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী ও আয়োজকেরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর জেলায় বেড়েছে ২২টি পূজা মন্ডপ। সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। জেলায় ২৫০টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। আবার কোথাও শুরু হয়েছে রঙের কাজ। আপন মনে প্রতিমাগুলো ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। এখন শেষ সময়ের পূজার প্রস্ততি নিচ্ছেন আয়োজকেরা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ। প্রতিমা শিল্পীরা ৫টি থেকে ১০টি পর্যন্ত প্রতিমা তৈরি করেছেন।

প্রতিমা শিল্পী কুমারেশ দাস ও মৃত্যুঞ্জয় কুমার পাল জানান, শেষ সময়ে প্রতিমা শিল্পীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে চাহিদাও বেশি।

এদিকে সকলের সহযোগিতায় অনাড়ম্বরভাবে দুর্গোৎসব পালন করতে চান আয়োজকরা।

হরিবাসর সার্বজনীন পূজা মন্দিরের উপদেষ্টা বিপ্রজিৎ বিশ্বাস বলেন, “আশা করছি প্রতিবছরের মতো এবছরও উৎসব মুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসনের সহযোগিতা ও আশ্বাসে আমরা আমাদের পূজার কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি।”

মিলপাড়া সাবর্জনীন পূজা মন্দিরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী বাগচী বলেন, “প্রত্যেক ধর্মকে সন্মান জানানো প্রত্যেকটি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমাদের উৎসবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এলাকার সকলেই আমাদের পাশে থাকেন। আশাকরি এবারও তার ব্যত্যয় হবে না।”

কুষ্টিয়া মহাশ্মশান মন্দিরের পুরোহিত পলাশ চক্রবর্ত্তী বলেন, “আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হবে। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী এবং ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয়া দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। এবার পৃথিবীতে দশভূজার আগমন হবে হাতিতে চড়ে আর কৈলাশে ফিরবেন দোলায়।”

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ৬ উপজেলায় ২৫০ মন্দিরে শারদীয়া দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮১টি, খোকসা উপজেলায় ৫৯টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৯টি, মিরপুর উপজেলায় ২৮টি, ভেড়ামারা উপজেলায় ১১টি ও দৌলতপুর উপজেলায় ১২টি মন্ডবে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এ বছর গত বছরের তুলনায় ২২টি মন্ডপে পূজা বেড়েছে।

কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়দেব বিশ্বাস বলেন, “গত বছরের তুলনায় এ বছর ২২টি পূজা বেশি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশাসনের সাথে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের বৈঠক হয়েছে। এছাড়া ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ মন্ডপের তালিকা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।”

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, “প্রতিটা পূজা মন্দিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পূজা মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হবে।”

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন জানান, যার যার ধর্মীয় উৎসব স্বাধীনভাবে ও উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করা তাদের অধিকার। কোন প্রোপাগান্ডা ও গুজবে কান দেওয়া যাবে না। বর্তমান সরকারের মবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। মব সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুষ্টিয়ায় এবার ২৫০টি মন্দিরে দুর্গাপূজা, বেড়েছে ২২টি মন্ডপ
  • ঠাকুরগাঁওয়ে ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব অনুষ্ঠিত
  • উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
  • কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
  • কারও কোনো অপরাধ নাই
  • বিশ্বকর্মা পূজা: গাঙ্গেয় শিল্পের উৎসব
  • আজ থেকে বুসান উৎসব, নানাভাবে রয়েছে বাংলাদেশ
  • ‎সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব : ডিসি
  • ঘুম থেকে অনন্ত ঘুমে অস্কারজয়ী রবার্ট রেডফোর্ড
  • ২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি