কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে...খালিদকে হারানোর এক বছর
Published: 18th, March 2025 GMT
চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৮ মার্চ। গত বছর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’র মতো জনপ্রিয় গানের এই শিল্পী।
কয়েক বছর ধরেই হৃদ্রোগে ভুগছিলেন খালিদ; একাধিকবার হৃদ্রোগের চিকিৎসা নেন তিনি। তাঁর হৃদ্যন্ত্রে একটি স্টেন্ট বসানো ছিল। সেদিন সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে খালিদকে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এই গায়কের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে কথা হয় অবসকিউর ব্যান্ডের ভোকালিস্ট সাইদ হাসান টিপুর সঙ্গে। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘তিনজন কাছের মানুষকে হারালাম—জুয়েল (হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল), শাফিন ভাই ও খালিদ। এই তিনজনের অভাব কখনো পূরণ হবে না। আসলে মৃত্যুর পর আমরা সবাই যেভাবে তাদের স্মরণ করি, বেঁচে থাকতে যদি তাদের একটু সময় দিতাম, তাহলে একবুক কষ্ট নিয়ে তাদের চলে যেতে হতো না। সব সময়ের মতো আবারও বলি, আমরা যেন দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝি।’
খালিদ সাইফুল্লাহ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ওপর বিশ্ববরেণ্য ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষ থেকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট ডিগ্রি’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (৩ নভেম্বর) এ দাবিতে ঢাবি উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। স্মারকলিপি প্রদান শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথা জানান তারা।
আরো পড়ুন:
বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়: ডাকসু
ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ড. জাকির নায়েক একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসলামী চিন্তাবিদ ও মানবতাবাদী সংগঠক। তিনি শুধু ইসলাম প্রচারই করেননি, বরং মানবকল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনাইটেড এইড’ নামের সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো শিক্ষার্থী বৃত্তি ও সহযোগিতা পাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি বিশ্বমঞ্চে মানবতার প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
তারা বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকারের ষড়যন্ত্রে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হলেও মালয়েশিয়া তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এমন একজন মানবতাবাদী ও জ্ঞানচর্চার প্রতীক ব্যক্তিত্বকে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে, তাহলে তা দেশের মর্যাদাকে আরো উজ্জ্বল করবে।
এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে ড. জাকির নায়েককে ডিগ্রি প্রদান করে দাবি জানান।
এছাড়া তারা ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান বুলিং, হ্যারাসমেন্ট ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞানচর্চার স্থানে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণ ও অনলাইন বুলিং উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় জেনেছি, ইতোমধ্যেই হ্যারাসমেন্ট ও সাইবার ট্যাগিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এসব কমিটি দ্রুত কার্যকর করতে হবে, যাতে অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী