ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিল বিএসএফ
Published: 18th, March 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে আটক বাংলাদেশি জেলেকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন থেকে আজ বিকেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার সকালে শিবগঞ্জের রঘুনাথপুর সীমান্ত এলাকার পদ্মা নদীতে একটি বাড্ডি নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যান একই উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের আলমগীর শেখ (২৭)। মাছ ধরার এক পর্যায়ে আনুমানিক ৭০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে তিনি প্রবেশ করলে বিএসএফের নিমতিতা ক্যাম্পের টহল দল তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি জানতে পেরে ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে মাউশির দপ্তরে দুদকের অভিযান
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে কলেজের নতুন এমপিও ভুক্তির আটকে রাখা ৯১টি ফাইল পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বুধবার দুপুরে ওই কার্যালয়ের কলেজ শাখার উপপরিচালক আলমগীর কবির টাকা ছাড়া ফাইল ছাড়েন না, এমন অভিযোগে অভিযান চালায় দুদক।
দুদকের ভাষ্যমতে, নতুন এমপিওভুক্তির জন্য ১৫২টি আবেদন পড়ে৷ ফাইল প্রথমে পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামানের কাছে দাখিল হয়। এরমধ্যে শর্ত পূরণ করতে না পেরে ৪৭টি বাতিল হয়। এরপর তিনি সহকারী পরিচালক আলমাস উদ্দিনের কাছে পাঠান। আলমাস উদ্দিন তা উপপরিচালক আলমগীর কবিরের কাছে পাঠিয়েছেন। আলমগীর কবির ৯২টি পরিচালকের কাছে পাঠাননি। এই ফাইল পাঠানোর জন্য মাত্র দুই দিন সময় রয়েছে।
অভিযান চলাকালে অফিসে ছিলেন না আলমগীর কবির। তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ রয়েছে, এমপিওভুক্তি ও বদলির ক্ষেত্রে অন্তত লাখ টাকা ঘুষ না দিলে ফাইল পাঠানো হয় না। এর আগে গেল ১১ মার্চ একই অফিসে অভিযান চালিয়ে দুদক আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ১৫১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পেয়েছিল।
মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফাইল পাঠাতে বললেও, তিনি নানা তালবাহানায় সেটা করেন না।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন জানান, ঘুষের জন্য ফাইল আটকে রাখেন এমন অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। ৯২টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে ১৫১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পেয়েছিল দুদক। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঢাকায় প্রতিবেদন পাঠান হবে।