মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছিল একদল বাংলাদেশি। ক্রিকেট দলের সদস্য সেজে তারা কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশের চেষ্টার করে। এ সময় ১৫ বাংলাদেশিকে আটক করে মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা সংস্থা (একেপিএস)।  

মালয়েশিয়ায় ঢোকার জন্য ওই ব্যক্তিরা ক্রিকেটের ‘স্পোর্টস ইউনিফর্ম’ পরে এসেছিলেন এবং সঙ্গে আনা একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আমন্ত্রণপত্র দেখিয়ে নিজেদের খেলোয়াড় দাবি করছিলেন। তবে তদন্তে বেরিয়ে আসে ‘পেনাং ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন’- এর নামে দেওয়া সেই আমন্ত্রণপত্র আসল নয়, বরং সম্পূর্ণ জাল।

একেপিএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চলতি বছরের ২১ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সূচি নেই। এ তথ্য মেলায় কর্মকর্তাদের সন্দেহ আরও বাড়ে। কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, দলের পক্ষ থেকে একজন স্পন্সর বা গ্যারান্টার উপস্থিত ছিলেন, যিনি তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার কথা ছিল। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন যে, এই টুর্নামেন্ট সম্পর্কে কিছুই জানেন না এবং শুধুমাত্র একটি কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে এসেছেন।

আরো পড়ুন:

ঈদের আগে ডিপিএলে খেলতে পারবেন না মুশফিক

নতুন পরিচয়ে বাইশ গজে আশরাফুল

বিমানবন্দরে আরও তদন্ত চালিয়ে কর্মকর্তারা নিশ্চিত হন যে, তারা আসলে প্রকৃত ক্রিকেটার নন। বরং এটি একটি চক্রের অংশ যারা খেলোয়াড় সেজে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করছিল। এ ঘটনায় তাদের ‘নট-টু-ল্যান্ড’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইনের ভিত্তিতে।

একেপিএস সতর্ক করে দিয়েছে যে, ভিসার অপব্যবহার, বিশেষ করে অবৈধ কাজ বা মানব পাচারের উদ্দেশ্যে খেলার নামে দেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, এ ধরনের অপরাধ রোধে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব শ র চ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ