নারী নির্যাতন মহামারি আকার ধারণ করেছে
Published: 19th, March 2025 GMT
নারী নির্যাতন মহামারি আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশে শত শত শিশু প্রতিদিন নির্যাতিত হচ্ছে। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশব্যাপী অব্যাহতভাবে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধনে’ বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য হেনা চৌধুরী। তিনি বলেন, নারীরা কর্মসূত্রে বিদেশে গিয়েও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের কারণে নারীর মৃত্যু হলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ডা.
লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক অ্যাড. দীপ্তি শিকদার বলেন, পরিবার, জনপরিসরে কোথাও আজ নারীর নিরাপত্তা নেই। নারী নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হলেও বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিতে ভুক্তভোগী, তার পরিবার এবং সাক্ষীদাতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
কেন্দ্রীয় এডভোকেসি এবং নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী জানান, ফেব্রুয়ারিতে সারাদেশে ১৮৯ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮ জন ধর্ষণের শিকার।
ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক কানিজ ফাতেমা বলেন, নারীদের নানা রকম কথা শুনতে হয়– পোশাক ঠিক নাই, চলাফেরা ঠিক নাই। কিন্তু আমরা দেখলাম, হিজাব পরা তনুকে ধর্ষণের শিকার হতে হলো। মাগুরার শিশুটি যে কিনা নারী হয়ে ওঠেনি, তাকেও মরতে হলো। নারীর প্রতি নিপীড়ন বন্ধে সবাইকে একসঙ্গে সোচ্চার হতে হবে। পর্নো সাইট ও মাদক বন্ধ করতে হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী পালিত
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রের সামনে পাহাড় রক্ষা পরিবেশ, উন্নয়ন সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মৌলভীবাজার জেলা পাহাড় রক্ষা পরিবেশ ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ময়নুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক সেলিম আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক হামিদা খাতুন, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, নিছসা সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক রাসেল হাসান বক্ত, পরিবেশকর্মী সাজু আহমেদ, শাহারা ইসলাম রুহিন, শ্রমিক নেতা দুলাল মিয়া, ছাত্রনেতা লিটন গাজী, মিনহাজুল ইসলাম মুন্না, আব্দুল মতিন, মিসবাউর রহমান, আদিবাসী নেতা সুচিনগুল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এখনও বাংলাদেশ সেই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারেনি। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয় হলেও দেশের স্বার্থরক্ষায় আন্দোলনকারীরা সরব রয়েছেন। ২৮ বছর পার হয়ে গেলেও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারের ক্ষতিপূরণ আদায়ে সচেতন হয়নি সরকার। বিষয়টি আমলে নেয়নি কোম্পানি।