বরগুনার পাথরঘাটায় সৌদি আরবপ্রবাসী নাজমুল জমাদ্দারকে তুলে নিয়ে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পরে পরিবার স্থানীয় বিএনপি নেতা আবুল কালাম ওরফে গদি কালামকে ১ লাখ টাকা দিলে মুক্তি পান নাজমুল।

গতকাল বুধবার পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিত নাজমুল জমাদ্দার আরও জানান, রোববার উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের মুচিঘাটা গ্রামে নিয়ে তাঁর ওপর এ নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনে জড়িতদের বিচার চান। প্রশাসন সহযোগিতা না করায় আত্মহত্যারও হুমকি দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে নাজমুলের মা হনুফা বেগম জানান, তাঁর ছেলে সৌদি আরব থেকে এক মাস আগে বাড়িতে এসেছেন। একটি কাজে এতদিন ঢাকা ছিলেন। রোববার বাসে পাথরঘাটার কাকচিড়া বাজারে নামলে সাত-আট যুবক মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। পরে মুচিকাটা আবাসন কেন্দ্রে হামিদা বেগমের ঘরে আটকে রেখে বিবস্ত্র করে মারধর ও ভিডিও করে। পরে ভিডিও নাজমুলের বাবার কাছে পাঠিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ভিডিওটি ইন্টারনেটেও ছড়িয়ে দেয় তারা।
তিনি বলেন, ‘এক পর্যায়ে কাকচিড়া বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা.

কবিরের মাধ্যমে রায়হানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ওরফে গদি কালামকে ১ লাখ টাকা দিলে নাজমুলকে ছেড়ে দেয় তারা।’

এ ব্যাপারে হামিদা বেগম জানান, তাঁর সঙ্গে নাজমুলের সম্পর্ক রয়েছে। গত রোববার নাজমুল তাঁর কাছে এলে স্থানীয়রা টের পেয়ে আটক রেখে মারধর করে। পরে নাজমুল কীভাবে ছাড়া পেয়েছেন, তা তিনি জানেন না।

টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা আবুল কালাম বলেন, ‘হামিদার সঙ্গে তাঁর ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় নাজমুলকে ধরে স্থানীয়রা মারধর করে। কবির ডাক্তারের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে নারীঘটিত ব্যাপার দেখে চল আসি। কোনো টাকাপয়সা লেনদেন হয়নি।’

পাথরঘাটা থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, কালাম নামে এক ব্যক্তি ফোন করে তাঁকে বিষয়টি জানান এবং নির্যাতনের ভিডিও দেন। কিন্তু কেউ লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বরগ ন প থরঘ ট

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”

শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।

তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ

কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।

 

তথ্যসূত্র: বাসস

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ