রূপগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, গ্রেপ্তার ২
Published: 20th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্র এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল ও সেচ্ছাসেবকদলের দুই গ্রুপের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় হাসিব নামের যুবক নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। বিশ মার্চ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে নিহত হাসিবের বড় ভাই মোঃ বাবু বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করে রমজান মিয়া ও রবিন নামের দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত রমজান মিয়া চানপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ও রবিন মিয়া একই এলাকার দুলাল ওরফে টাক দুলালের ছেলে।
এ ব্যাপারে জেলার সহকারি পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী হাসান বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় নিহত হাসিবের ভাই বাবু বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার এজাহার নামীয় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে চনপাড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
প্রসঙ্গত: রূপগঞ্জে অপরাধের সম্রাজ্য খ্যাত চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্রে মাদক ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে যুবদলের শামীম ও স্বেচ্ছাসেকদলের রব্বানীর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে ও বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাতভর চলে সংঘর্ষ। এ সময় উভয় পক্ষই গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়। এ সময় যুবদলের কর্মী হাসিব সহ উভয় পক্ষের আরো ৩০ জন আহত হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র ঘটন য় র পগঞ জ স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ
বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।
দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।
পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।
বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’
সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসীসম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।
এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।
সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।
রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা