ভারতের শিলংয়ে আজ বিকেলে পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ঠিক সেই সময় ঢাকায় বসে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নির্বাহী কমিটির সভা। সভায় অনুমোদন পেয়েছে ২০২৫ সালের বাজেট। পাশাপাশি ফুটবলারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও এসেছে—বীমার আওতায় আনা হচ্ছে তাদের।
ফুটবল ইনজুরিপ্রবণ খেলা। অনেক সম্ভাবনাময় ফুটবলার ক্যারিয়ার গড়ার আগেই ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়েন। এই বাস্তবতায় জাতীয় দল থেকে শুরু করে বয়সভিত্তিক দলগুলোর ফুটবলারদের ইনজুরির সময় চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করতে চায় বাফুফে। নির্বাহী কমিটির একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, 'আমরা খেলোয়াড়দের ইনজুরির কারণে হারাতে চাই না। তাদের পাশে থাকতে চাই সব পরিস্থিতিতে। এজন্য চিকিৎসা খরচের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই বীমার উদ্যোগ।'
জানা গেছে, শিগগিরই একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিতে যাচ্ছে বাফুফে। এর মাধ্যমে জাতীয় ও জুনিয়র পর্যায়ের সব ফুটবলার বীমার আওতায় আসবেন।
এর আগেও বাফুফের সঙ্গে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পার্টনারশিপের মাধ্যমে জাতীয় দলের ফুটবলাররা বীমা সুবিধা পেতেন। তবে সেই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় একসময়। এবার আরও বিস্তৃতভাবে আবারও বীমা সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বিষয়টি উল্লেখ করেননি বাফুফের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।
এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।
এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।