খবরটা পাওয়া গেল বাংলাদেশ সময় গভীর রাতে। হুট করেই খবরটা এলো। বোলিং অ্যাকশনের ত্রুটি শুধরে পরীক্ষায় পাস করেছেন সাকিব আল হাসান। সেই সঙ্গে আবারো আলোচনার বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা। সাকিবকে নিয়ে আলোচনার শুরুটা অবশ্য বিগত দিনগুলো থেকেই।

জুলাই অভ্যুত্থান সাকিবের স্বাভাবিক গতিপথ বদলে দিয়েছে। ক্রিকেট মাঠ থেকে রাজনীতিতে পা রাখা থেকে শুরু করে দেশান্তরী হওয়া, এসবের শুরুটা ২০২৪ সালের জুলাইয়ে। এরপর একটা সিরিজ বাদে দেশের জার্সিতে আর মাঠে দেখা যায়নি দেশের ক্রিকেটের ‘পোস্টার বয়কে।’

সাকিব যখন দেশে আসার জন্য এবং জার্সি গায়ে মাঠে নামার জন্য ব্যাকুল, ঠিক তখনই মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এলো বোলিংয়ে অ্যাকশনে ত্রুটি। একবার পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে না পারায় জোটে নিষেধাজ্ঞা। যার ফলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলেও থাকতে পারেননি দেশসেরা অলরাউন্ডার। শুধু ব্যাটার হিসেবে তাকে দলে নিতে চাননি নির্বাচকরা।

আক্ষেপ নিয়েই বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর মিশনে নামেন সাকিব। যুক্তরাষ্ট্রে বসেই অ্যাকশন শুধরে আবারো পরীক্ষায় নামেন। এবার কোনো সমস্যা ছাড়াই পাস করে গেলেন।

এখন থেকে আবার আগের মতো ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই আলো ছড়ানোর সুযোগ থাকছে সাকিবের সামনে। কিন্তু সেটা কী আদৌ সহজ হবে? সাকিবের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাইজিংবিডিকে একটা ধারণা দিলেন স্পিন কোচ সোহেল ইসলাম।

ক্রিকেটে অনেকটা সময় পার করে এসেছেন সাকিব। অর্জনের খাতা কম ভারী নয়। সোহেলের মতে, আগামীতে সাকিবের নিজেকে প্রমাণের কিছু নেই। সিদ্ধান্ত বোর্ড ও নির্বাচকদের কোর্টে ঠেলে দিলেন এই কোচ।

সোহেল বলেন, ‘‘সাকিবের ব্যাপারটা হচ্ছে যে, এতোদিন পর এসে ভবিষ্যত আসলে দেখার কিছু নাই। যদি বোলিং ঠিক হয়ে যায়, তারপরে ব্যাটিংটাও ধরেন.

. ওর তো ট্যালেন্ট নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই বা পারফরম্যান্স নিয়ে কখনই কোনো কিছু (অভিযোগ) ছিল না। তাহলে ফিট হয়ে গেলে তো তাকে পাওয়া যাবে। এরপর সিলেক্টর, বোর্ড কিভাবে চিন্তা করতেছে এটা হচ্ছে কথা।’’

দেশের জার্সিতে সাকিব সবশেষ খেলেছিলেন ২০২৪ সালের অক্টোবরে। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে সবশেষ দেখা গিয়েছিল তাকে। আবারো দেশের জার্সিতে মাঠে নামলে পুরনো রিদম ফিরে পাবেন কী না, প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে এগুলো কোনো সমস্যা হিসেবে দেখছেন না সোহেল।

সোহেল আরো বলেন, ‘‘সাকিবের অ্যাবিলিটি নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন নাই। ট্যালেন্টের ব্যাপারেও একই কথা। এতোদিন খেলার পরে রিদমে আসা... আমার কাছে মনে হয় না এগুলো কোনো সমস্যা। এটা ওর ইচ্ছার উপর ডিপেন্ড করে। যতটুকু আমি কাছ থেকে দেখছি, ও যদি চায় ও আসলে অনেক কিছুই করতে পারে।’’

‘‘ফিটনেসটা একটা ব্যাপার, ইস্যু। এটা যদি সেই স্ট্যান্ডার্ডের (খেলার মতো) ফিটনেস মনে হয় তাহলে স্কিল নিয়ে ডাউট করার কোনো সুযোগ নাই।’’ - আরো যোগ করেন সোহেল।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অ য কশন

এছাড়াও পড়ুন:

টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’

বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়।  আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’ 

পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।

২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
  • টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
  • সেই ‘ছোট সাজ্জাদ’ ফের ৩ দিনের রিমান্ডে