হিটে ষষ্ঠ হয়ে বিদায় বাংলাদেশের জহিরের
Published: 21st, March 2025 GMT
বিশ্ব অ্যাথলেটিকস ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপে এবারই প্রথম অংশ নিয়েছেন জহির রায়হান। আজ চীনের নানজিংয়ে ৪০০ মিটার দৌড়ে জহির তাঁর হিটে ষষ্ঠ হয়ে বিদায় নিয়েছেন।
হিটে দৌড় শেষ করতে বাংলাদেশের এই অ্যাথলেট সময় নেন ৪৯.৮৪ সেকেন্ড। সব মিলিয়ে ছেলেদের ৪০০ মিটারে ২৯ জনের মধ্যে জহির হয়েছেন ২৫তম।
বিশ্ব ইনডোরে বাংলাদেশের অ্যাথলেটদের লক্ষ্যই থাকে টাইমিংয়ে উন্নতি করা। ২০২৪ সালে গ্লাসগোতে এই প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালের ২ নম্বর হিটে দৌড়ান ইমরানুর রহমান। ৬.
এর আগে ২০২২ সালে বেলগ্রেডে হওয়া বিশ্ব ইনডোরের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেন ইমরানুর। হিটে সময় নেন ৬.৬৪ সেকেন্ড। যদিও সেবার দৌড় শেষ করতে পারেননি।
গত মাসে ৪৮তম জাতীয় অ্যাথলেটিকসের ৪০০ মিটার দৌড়ে দশমবারের মতো সোনা জেতেন জহির। যেখানে প্রথম হতে তাঁর লেগেছিল ৪৭.৭২ সেকেন্ড।
এ ছাড়া ২০২৪ সালে ইরানের তেহরানে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের ৪০০ মিটার দৌড়ে রুপা জেতেন জহির। তখন তাঁর টাইমিং ছিল ৪৮.১০ সেকেন্ড, যা এখন পর্যন্ত তাঁর ক্যারিয়ারসেরা টাইমিং। সেবার হিটে প্রথম হতে জহির সময় নেন ৪৮.৮৪ সেকেন্ড।
গত দুই আসরের মতো এবারও বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে অংশ নেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ইমরানুর রহমানের। কিন্তু তিনি ‘না’ বলায় জহিরকে মনোনীত করে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৪০০ ম ট র ইমর ন র ইনড র সময় ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ শতাংশ
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ৩২১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-মার্চ) ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ২৫৭ কোটি ডলার। সেই হিসেবে এ বছর বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এমনকি চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে গত অর্থবছরের কাছাকাছি ঋণের সুদাসল পরিশোধ হয়ে গেছে।
বিদেশি ঋণ-অনুদান পরিস্থিতির ওপর গতকাল বুধবার প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ পরিশোধের মধ্যে আসলের পরিমাণ ২০১ কোটি ডলার। সুদ বাবদ ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৬৪ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।
ইআরডির একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আগ্রাসী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় পরিণাম চিন্তা না করে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হারের তারতম্য বাড়াসহ নানা কারণে এখন বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে দেশে মোট প্রায় ৪৮১ কোটি ডলার সমপরিমাণ বিদেশি ঋণ-অনুদান এসেছে। এ সময়ে ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়েছে অর্থছাড়ের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের সমান। এদিকে গত জুলাই-মার্চ সময়ে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গতবারের একই সময়ে পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্ধেকের কম।
গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭২৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল। জুলাই-মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১২২ কোটি ডলার ছাড় করেছে এডিবি। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ১০৭ কোটি ডলার ও জাপান ৮৯ কোটি ডলার দিয়েছে।