‘সি টু সামিট’-এর পথে শাকিল হাঁটা শুরু করেছে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫। ‘সি টু সামিট’ ব্যপারটা খোলাশা করে বলি। সমুদ্র সৈকত থেকে পায়ে হেঁটে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট সামিটের পুরোটা পথ হেঁটে যাবে শাকিল। বিশ্বে এখন পর্যন্ত আর একজন ব্যক্তি এই পাগলামি করেছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ম্যাকার্টনি-স্নেপ। ১৯৯০ সালে ভারতের গঙ্গাসাগর থেকে ৯৬ দিনে প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পা রাখেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে। শাকিল বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে এই যাত্রা শেষ করার প্রয়াস করেছে ৯০ দিনে এবং দূরত্ব হবে ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পথ। অর্থাৎ এই পাগলামিটা করতে পারলে শাকিলের এবং বাংলাদেশের জন্য একটা মাইলফলক হবে বিশ্বদরবারে। এই অভিযান শুধু ভৌগোলিক পথচলা নয়, বরং এক অন্তর্নিহিত প্রতিজ্ঞা, পরিবর্তনের এবং সচেতনতার। সিঙ্গেল-ইউজড প্লাস্টিক দূষণ কমানো ও কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের বার্তা নিয়ে শাকিল তার দীর্ঘ পথচলা শুরু করেছে। 

এটাকে ‘পাগলামি’ বললাম কারণ, আমরা যারা এসব করে বেড়াই আমাদের সমাজের মানুষ ‘পাগল’ বলে আখ্যায়িত করে। সবাইকে সব কিছু করতে হবে না, কিছু লোক পাগলামি করে যদি বিশ্ব রেকর্ড করতে পারে তাহলে পাগলই ভালো। শাকিল তার লক্ষ্যে সফল হলে, এটি হবে পদযাত্রা করে সবচেয়ে বেশি পথ পাড়ি দিয়ে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে এবং সবচেয়ে কম সময়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এভারেস্ট জয়ের বিশ্বরেকর্ড।

কক্সবাজার থেকে হেঁটে হেঁটে চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা ও মুন্সীগঞ্জ হয়ে ১২ দিন পর ঢাকায় পৌঁছাল শাকিল। এরপর ৯ মার্চ ‘প্রাণ’র সৌজন্যে প্রেস কনফারেন্স হলো ঢাকার শুটিং ক্লাবে। সেখানে শাকিল তার যাত্রার লক্ষ্য উদ্দেশ্যের ব্যপারে সবাইকে জানালো। এই কর্ম সম্পাদন করতে যে পাহাড়সম অর্থায়ন প্রয়োজন সে জন্য স্পন্সর ও দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জানালো। এখনো এভারেস্ট যাত্রায় শাকিলের অর্ধেক অর্থের ঘাটতি রয়েছে। জানিয়ে রাখি, এভারেস্টে চড়তে হলে নেপাল সরকারকে জমা দিতে হয় পনেরো হাজার ইউএস ডলার। 

সব কিছু গুছাতে শাকিল কয়েকদিন সময় নিলো এবং এরপর ঢাকা থেকে হাঁটা শুরু করল। প্রতিদিন যেখানে হাঁটা শেষ হচ্ছে পরদিন সেখান থেকেই আবার হাঁটা শুরু হচ্ছে। কক্সবাজার থেকে শাকিলের সঙ্গে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত হেঁটে যাচ্ছে মাসফিকুল হাসান টনি। নাটরের ছেলে, মিষ্টভাসী আর বেশ এনার্জেটিক। বছর দুই আগে সে ভোমরা সীমান্ত থেকে হেঁটে বান্দারবানের সাকাহাফং চূড়ায় উঠেছিল। সেই অভিজ্ঞতা বই আকারে প্রকাশ করেছে অদ্রি প্রকাশনী থেকে। কক্সবাজার থেকে কয়েকদিনের পথ হেঁটেছে পর্বতারোহী বিপ্লব ভাইও। 

ভোরবেলা তারা সায়েদাবাদ থেকে রওনা দিয়েছে। আজকে যুক্ত হয়েছে একদল অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষেরা। আমি যুক্ত হলাম কারওয়ান বাজার থেকে। পর্বতারোহী সাদিয়া সম্পা আপা শাকিলের এই যাত্রার সব ধরনের আপডেট দিচ্ছেন। সকাল থেকে আপার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের জায়গামত ধরে ফেললাম। আজকে শাকিলের কাজ থাকায় পল্লবীতে গিয়ে এই হাঁটার ইতি টানা হবে। এতোদিন হেঁটে আসার নানা অভিজ্ঞতা, এভারেস্টে যাবার পরিকল্পনা এসব গল্প শুনতে শুনতে আমরা ফার্মগেট, আগারগাঁও হয়ে মিরপুর চলে এলাম। 

শাকিলের সঙ্গে সি টু সামিটের অংশীদার হয়ে কিছুদিন হাঁটার পরিকল্পনা করে গতকাল থেকে হাঁটা শুরু করে দিয়েছি। ভোরে পল্লবী থেকে হাঁটা শুরু হলো, গন্তব্য গাজীপুরের কালিয়াকৈর। দেরি করে ঘুম ভাঙ্গাতে আমি ওদের আশুলিয়া বাজারে এসে ধরলাম। সেখান থেকে কালিয়াকৈর এসে পৌঁছাতে প্রায় সাড়ে আটটা বেজে গেল। 

আশুলিয়ার রাস্তাটা বেশ বাজে, অতিরিক্ত ধুলা আর গাড়ির শব্দ। আশুলিয়া থেকে আমরা বিকল্প রাস্তায় কালিয়াকৈরের দিকে হাঁটতে থাকলাম। জিরাবো বাজার থেকে আবার মেইন রাস্তা ধরে হাঁটা শুরু করলাম। পথে শাকিলের বন্ধু এবং মামার সঙ্গে আমাদের দেখা হলো। দিদার উত্তরা থেকে হাঁটা শুরু করেছিল, চন্দ্রার কাছে এসে সে বিদায় নিলো। চন্দ্রাতে আমরা ইফতার করে আরো পাঁচ কিলোমিটার পথ হেঁটে কালিয়াকৈর পৌঁছালাম। সাংবাদিক ভাইরা শাকিলের এই পদযাত্রার এবং আমাদের বক্তব্য ধারণ করলেন। শাকিলের এই উদ্যোগের ব্যাপারে তারাও বেশ কৌতূহল নিয়ে সংবাদ প্রচারে ফুল নিয়ে হাজির হয়েছে। শাকিলের পৈতৃক বাড়ি কালিয়াকৈরের বাগচালা গ্রামে। এত কাছে এসে মায়ের মুখ না দেখলে কি হয়!  সে যে লম্বা সফরে বের হয়েছে। তাই আমাদের সে নিজের বাড়িতে নিয়ে এলো। রাতটা থেকে ভোরবেলা হাঁটা শুরু হবে।

বছর দুই আগে আমি মির্জাপুর থেকে হেঁটে বাংলাবান্ধা গিয়েছিলাম ১৩ দিনে। তখন সঙ্গে ছিল নেপালি তরুণ ঈ। পথে পথে নানা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছিল এবং নতুন কিছু মানুষকে পেয়েছি যারা আত্মীক বাঁধনে যুক্ত হয়েছে। এবারেও পথ চলতে চলতে নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হচ্ছে। এ ছাড়া পথের বিচিত্র অভিজ্ঞতা তো রয়েছেই। টনি আর শাকিলের সাথে গল্প করতে করতে হাঁটতে বেশ ভালো লাগছে। শাকিল নেপালে ট্র্যান্স হিমালয় শেষ করেছে আর টনি ভোমরা থেকে সাকা হাফং। অনেক অনেক গল্প। অদ্রি থেকে প্রকাশিত তার বই এ বছর বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। নাম ‘অভিযাত্রীর পদচিহ্ন ভোমরা থেকে সাকা হাফং’। 

আলাপনে দীর্ঘ পথ কখন ফুরিয়ে গেল টের পেলাম না। তবে প্রচণ্ড তাপ ত্রাহি অবস্থা করে দিয়েছে আমাদের। টাঙ্গাইল হয়ে যমুনা নদী সাঁতার কেটে শাকিলকে পার করে দিয়ে আসবো এখন পর্যন্ত এমনই পরিকল্পনা। 

এভারেস্টের পথে এই লম্বা সফরে পৃষ্ঠপোষকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি অনুষঙ্গ। যা এখনো পুরাপুরি জোগাড় হয়নি। সাহস করে সে পথে নেমে গেছে সেজন্য সাধুবাদ। আশাকরি বাংলাদেশের পতাকা পৃথিবীর সর্বচ্চ পর্বতশৃঙ্গের চূড়াতে আবারো উড়বে। আজকে ৩৪.

২১ কিলোমিটার পথ হাঁটা হলো। টনি আর শাকিলের হলো আরো ৮ কিলোমিটার বেশি।

সি টু সামিট- এই লম্বা পথের পদযাত্রায় শাকিলের বাড়িতে এক রাত থাকাটা বেশ আবেগঘন ছিল ৷ মায়ের আশীর্বাদ এবং পরম যত্নে রান্না করা খাবার শাকিলের কঠিন পথের প্রেরণা জোগাবে, সঙ্গে আমাদেরও। সকালবেলা বিদায় বেলায় অশ্রুজলে মা ছেলেকে দোয়া করে দিলো। সাংবাদিক ভাইরা আরো কিছু সময় নিলো আমাদের। এরপর বাগচালা গ্রাম থেকে আমরা গতকালের হাঁটার পয়েন্টে এসে হাঁটা শুরু করলাম। আজকে শুরু করতে একটু দেরিই হয়ে গেলো বলা যায়। ফলশ্রুতিতে তপ্ত রোদে আমাদের দগ্ধ হতে হয়েছে।

কালিয়াকৈর উপজেলার সীমানা ছাড়িয়ে টাঙ্গাইল মহাসড়কে ওঠার পর সোজা পথ। গাছপালার নাম নিশানাও নাই। হাইওয়ে দিয়ে হাঁটা বিরক্তিকর কাজ। তারপরও আমাদের হাঁটতে হলো। মির্জাপুর থেকে বিকল্প পথে সেবার আমি হেঁটেছিলাম। তবে তাতে করে কয়েক কিলোমিটার পথ বেশি হাঁটা হবে। শাকিলের হাতে সময় কম, তাই বাংলাদেশের অংশটুকু দ্রুত পার করতে পারলে তার এভারেস্টের পথে কিছু সময় বাঁচবে। পথের মাঝখানে যুক্ত হলো সিজান। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলো, বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতী। আজকে সারাদিনের পথ সে পায়ে হেঁটে আমাদের সঙ্গে এলো।

টাঙ্গাইল শহরের কাছাকাছি এলে আরো যুক্ত হলো হেলাল ভাই এবং শাকিল হোসেন। সেবার হাঁটার সময় পথে দেখা হয়েছিল। এবার আবারও সেই হাঁটা পথেই দেখা হলো। রাতে হেলাল ভাইয়ের বাড়িতে নিমন্ত্রণ। বেলা ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সময়টা বেশ চ্যলেঞ্জিং। শাকিলের পায়ে ফোস্কা পড়েছিল। সেই ব্যথাটা ভোগাচ্ছে। গরমে আমাদের গতি কমে আসলো। এদিকে টনি ভালো হাঁটে, সে আমাদের তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে,  ভালোভাবে না হাঁটলে সন্ধ্যার পর বেশি হাঁটতে হবে। শহরে ঢোকার ৫ কিলোমিটার আগে সোনিয়া আপা যুক্ত হলো ইফতার নিয়ে। সবাই একত্রে ইফতার করে আবার হাঁটা শুরু। রাত আটটা বেজে গেলো নগর জালফৈ বাইপাস আসতে। আজকের দিনের জন্য এখানেই ইতি। 

শহরে আমাদের জন্য অপেক্ষায় ছিল বদরউদ্দিন ভাই, আমার আয়রনম্যানের সঙ্গী। তিনি টাঙ্গাইলের একটি ব্যাংকের ম্যনেজার, আন্তরিক মানুষ। অনেকদিন পর বদর ভাইয়ের সাথে দখা হয়ে খুব ভালো লাগলো ৷ আগামীকাল আমরা যমুনা নদী সাঁতরে অন্য প্রান্তে যাবো। আমি শাকিল দুজনই খুব এক্সাইটেড। হেলাল ভাইরাও যুক্ত হবে। রাতে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে থাকার বন্দোবস্ত হলো। আমার খবর পেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা বন্ধু বাবু দেখা করতে চলে এলো কলিগকে নিয়ে। বেশ ক্লান্ত ছিলাম তাই বেশি সময় দিতে পারিনি, ফ্রেশ হয়ে হেলাল ভাইয়ের বাড়ির দিকে চললাম নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে। 

হেলাল ভাই ডাকঘরে কাজ করেন। স্পোর্টস এক্টিভিটি এবং স্বাস্থ্য-সচেতনতা নিয়ে তার ব্যাপক আগ্রহ। গিয়ে দেখলাম আমাদের জন্য নানা পদের খাবারে তার টেবিল সাজানো। মন আর পেট তৃপ্তিতে ভরে গেলো। 

লেখক: ভ্রমণ লেখক, আয়রনম্যান ৭০.৩ এবং বাংলা চ্যানেল ফিনিশার


 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ল ম ট র পথ য ক ত হল আম দ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন

ব্যক্তিগত সম্পদ ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসির এক সাংবাদিকের ওপর ভীষণ চটে যান। ওই সাংবাদিকের কারণে ‘অস্ট্রেলিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে’ বলে সতর্ক করেন তিনি। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে আসন্ন বৈঠকে ওই সাংবাদিকের ব্যাপারে নালিশ করারও হুমকি দেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের লনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন ট্রাম্প। এবিসির সাংবাদিক জন লায়ন্সও তাঁকে প্রশ্ন করছিলেন। লায়ন্স এবিসিতে প্রচারিত ফোর কর্নারস অনুষ্ঠানের জন্য সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন।

লায়ন্সের সঙ্গে কথোপকথনে ট্রাম্প এটাও বলেছেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সরাসরি বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছেন। আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেওয়ার ফাঁকে ওই বৈঠক হতে পারে।

গতকাল লায়ন্স ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি কতটা ধনী হয়েছেন? তিনি আরও উল্লেখ করেন, ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে অবস্থান করা সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না।’ তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ট্রাম্প অর্গানাইজেশন নামে তাঁর যে পারিবারিক ব্যবসাটি আছে, সেটি এখন তাঁর সন্তানেরা পরিচালনা করেন।

ট্রাম্পের দাবি, তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই বেশির ভাগ ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছে।

লায়ন্সের সঙ্গে কথোপকথনে ট্রাম্প এটাও বলেছেন যে তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সরাসরি বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছেন। আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেওয়ার ফাঁকে ওই বৈঠক হতে পারে।

এরপর লায়ন্স ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ব্যক্তিগত ব্যবসা করা ঠিক কি না? ট্রাম্প বলেন, ‘আসলে আমি নই, আমার সন্তানেরা ব্যবসা চালাচ্ছে।’

এরপর লায়ন্সকে ট্রাম্প জিজ্ঞাসা করেন, তিনি (লায়ন্স) কোথা থেকে এসেছেন।
এরপর ট্রাম্প চটে গিয়ে বলেন, এ ধরনের প্রশ্ন করার মধ্য দিয়ে লায়ন্স ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্ষতি’ করছেন।

আরও পড়ুনঘুমাচ্ছিলেন বিবিসির সাংবাদিক, হঠাৎ ট্রাম্পের ফোন, বললেন অনেক কথা১৫ জুলাই ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলতে থাকেন, ‘আমার মতে, আপনি এ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার অনেক ক্ষতি করছেন। আর তারা আমার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। আপনি জানেন, আপনার নেতা (অ্যান্থনি আলবানিজ) শিগগিরই আমার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। আমি তাঁকে আপনার ব্যাপারে বলব। আপনি খুব খারাপ ভঙ্গিতে কথা বলছেন। আপনি আরও ভালোভাবে কথা বলুন।’

সাংবাদিক লায়ন্স ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ব্যক্তিগত ব্যবসা করা ঠিক কি না? ট্রাম্প বলেন, ‘আসলে আমি নই, আমার সন্তানেরা ব্যবসা চালাচ্ছে।’

এরপর লায়ন্স আবারও কিছু বলতে গেলে তাঁকে থামিয়ে দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘চুপ করুন’।

গত জুনে কানাডায় জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে প্রথমবারের মতো ট্রাম্প ও আলবানিজের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে হঠাৎই তা বাতিল হয়ে যায়। এর পর থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করছেন আলবানিজ।

আরও পড়ুনট্রাম্প-জেলেনস্কির বাগ্‌বিতণ্ডার পর কী বললেন স্টারমার ও আলবানিজ০১ মার্চ ২০২৫

সম্প্রতি আলবানিজ বলেছেন, নিউইয়র্কে বিশ্বনেতাদের সম্মেলন ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদানকালে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর দেখা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিউইয়র্কে আমাদের একে অপরের সঙ্গে দেখা হবে। আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার রাতে তিনি একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন। এ ছাড়া চলতি বছরের শেষ নাগাদ বিভিন্ন ফোরামে আমাদের দেখা হবে। এটা সম্মেলনের মৌসুম।’

ট্রাম্পের সঙ্গে আলবানিজের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জরুরি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে আছে পেন্টাগনের অকাস পারমাণবিক সাবমেরিন চুক্তি এবং প্রতিরক্ষা খাতে আরও ব্যয় বাড়াতে ট্রাম্প অস্ট্রেলিয়ার কাছে যে দাবি জানিয়েছেন, তা নিয়ে পর্যালোচনা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রাম চেম্বারে ‘পরিবারতন্ত্র’ পুনর্বহালের অভিযোগ
  • পাকিস্তানি খেলোয়াড়ের থ্রো লাগল আম্পায়ারের মাথায়, এরপর যা হলো
  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার