ঢালিউড জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের জন্মদিন আগামী ২৮ মার্চ। শীর্ষ নায়কের জন্মদিন ঘিরে কোনো উন্মাদনা থাকবে না তা হয় না।  প্রিয় নায়কের জন্মদিনে কী আয়োজন থাকে তা জানতে মুখিয়ে ভক্তরা। এবার জন্মদিনে নায়কের পক্ষ থেকে ভক্তরা উপহার পেতে যাচ্ছেন ‘তাণ্ডব’ সিনেমার ফার্স্ট লুক। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের একটি সূত্র এমনটিই জানিয়েছে।

শাকিব বর্তমানে ‘বরবাদ’ সিনেমা প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত। ঠিক সে সময়েই  তাণ্ডব সিনেমার ফার্স্ট লুকের সুখবর এলো। ২০২৩ সালে তরুণ পরিচালক হিমেল আশরাফের ‘প্রিয়তমা’ ও ‘রাজকুমার’ নিয়ে নতুন করে জনপ্রিয়তার জোয়ারে ভেসেছিলেন শাকিব। তারপর গত বছর রায়হান রাফী নির্মিত ‘তুফান’ দিয়ে সেই জোয়ারে যেন নতুন হাওয়া দিয়েছেন।

নতুন করে দর্শক টেনেছে সিনেমাটি। সিনেমা মুক্তির পরপরই তিনি ঘোষণা দিয়েছিল ‘তুফান ২’ নির্মিত হবে। কিন্তু সেটি আর হয়নি। 

শাকিব খান ও রায়হান রাফী জুটি হয়ে আবারও আসছেন পর্দায়। ‘তুফান ২’ না হলেও ‘তাণ্ডব’ সিনেমা নিয়েই হাজির হবেন দু’জন। জানা গেছে, অ্যাকশনধর্মী সিনেমা হবে ‘তাণ্ডব’। এটি প্রযোজনা করছে আলফা আই-এসভিএফ বাংলাদেশ। সিনেমার প্রি প্রোডাকশনের কাজ শুরু হয়েছে অনেক আগেই। গত ফেব্রুয়ারিতে এর দৃশ্যধারণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। নানা কারণে সেটি হয়নি।

আগামী ২৪ মার্চ শুরু হবে সিনেমার দৃশ্যধারণ। পরিচালকের সঙ্গে যৌথভাবে সিনেমার চিত্রনাট্য করেছেন আদনান আদিব খান। যিনি ‘তুফান’ সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। ‘তাণ্ডব’-এ নায়িকাকে এখনও জানাননি নির্মাতা। তাই সিনেমার নায়িকা নিয়ে বাড়তি উত্তেজনা তৈরি হয়েছে শাকিব ভক্তদের মনে। একটি সূত্রে জানা যায়, ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় অভিনয় করবেন নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান।

২০১৩ সালে পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘প্রেমকাহিনি’ সিনেমায় অভিনয়ের পর প্রায় এক যুগ পর একসঙ্গে অভিনয় করতে পারেন শাকিব ও জয়া। জানা যায়, এ সিনেমায় শুধু জয়াই নয়, সঙ্গে থাকবেন আরও একজন দেশি নায়িকা। তবে তাঁর নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আইটেম গানেও চমক হিসেবে হাজির হবেন জনপ্রিয় আরও এক চিত্রনায়িকা। চলতি বছরের ঈদুল আজহায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা রয়েছে সিনেমাটি। গল্প প্রসঙ্গেও কথা বলা বারণ বলে জানালেন রাফী।

যখন ‘তাণ্ডব’ সিনেমার ঘোষণা দেওয়া হয় ওই সময় তিনি বলেছিলেন, আমাদের ঢালিউড দর্শক এমন সিনেমার গল্প আগে দেখেনি, চিন্তাই করতে পারবে না এবার “তাণ্ডব’-এ কী ঘটবে। এবার তুফান সিনেমার চেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। দর্শক এই সময়ে যে ধরনের সিনেমা দেখতে চান এটি তেমনই। সিনেমার ফাইট ডিরেক্টর ও অনেক কলাকুশলী থাকবেন বিদেশের। সিনেমাটি নিয়ে আমি খুবই এক্সসাইটেড। দর্শকও নতুনরূপে দেখবে শাকিব খানকে। আশা করছি, দর্শক বড় আয়োজনের একটি সিনেমা উপহার পেতে যাচ্ছেন।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত